ধর্মের বেড়া জাল ভেঙে কালী প্রতিমা তৈরিতে ব্য়স্ত ইসমাইল চিত্রকর

কালী প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। ধর্মীয় ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে সপরিবারে কাজে হাত লাগিয়েছেন ইসমাইল চিত্রকর।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
োোোোোোোোোোোোোো



দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : মুসলিম ধর্মের মানুষের হাতে তৈরি হিন্দু ধর্মের প্রতিমা।হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি গড়ে এলাকায় জনপ্রিয়  ইসমাইল চিত্রকর। সামনে কালী পুজো। ক্রেতাদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিমা তুলে দিতে নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রতিমা তৈরির কাজে চরম ব্যস্ততা ইসমাইল সহ তার পরিবারের সদস্যদের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের নাড়াজোল এলাকায় এভাবেই প্রায় ৪৩-৪৪ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করে চলেছেন ইসমাইল চিত্রকর। তিনি জানান, ''বয়স যখন ১৬ থেকে ১৭, তখন থেকে বাবার হাত ধরে ঠাকুর তৈরি করা শিখেছি,সেই থেকেই বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করে আসছি, শুধু আমি না, আমার পাঁচ পুরুষ ধরে এই কাজেই আমরা যুক্ত।'' সহযোগী হিসাবে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করে তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী।ইসমাইলের এই মূর্তি তৈরি ঘিরে দুই ধর্মের মেলবন্ধনের এক নজির  বলে দাবি এলাকার মানুষের।ইসমাইলের হাতে গড়া লক্ষ্মী,গণেশ,কার্তিক, সরস্বতী ও কালী প্রতিমা পাশের ব্লক ডেবরা, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা সহ বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দেয়।সারা বছর এই প্রতিমা তৈরির ফাঁকে নানান পট শিল্প,মাটির তৈরি রকমারি পুতুল বিভিন্ন ধরনের রঙিন ভাঁড় তৈরি করেন ইসমাইল চিত্রকর।ইসমাইলের দাবি, প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় হিন্দু বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ আসে।অনেক বাড়ির পুজোয় তিনি গিয়েছেন।এক কথায় মুসলিম ইসমাইল চিত্রকরের হাতে তৈরি প্রতিমা পুজো পায় হিন্দুর বাড়িতে। ধর্ম নিয়ে যখন দেশজুড়ে এতো উন্মাদনা, সেদিক দিয়ে দাসপুরের এই ছবি বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন বলা চলে।

hiring.jpg