কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গেছেন মহম্মদ ইউনূস, সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভেই কি তবে শেষ হবে অধ্যায়?

ঢাকায় আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
Yunus

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মুখে। সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর চাপের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সমস্ত ধরণের বিক্ষোভ, সমাবেশ ও জমায়েতের উপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার ডিএমপি কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলী জানান, “জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তার স্বার্থে” এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যমুনা গেস্ট হাউস (যেখানে ইউনূস বাস করেন), বাংলাদেশ সচিবালয় ও আশেপাশের এলাকাও সিল করে দেওয়া হয়েছে।

c

এই কঠোর পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে ইউনূস সরকারের বিতর্কিত একটি অধ্যাদেশ, যাতে বলা হয়েছে, ১৪ দিনের মধ্যে উপযুক্ত প্রক্রিয়া ছাড়াই সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করা যেতে পারে। বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা একে “বেআইনি কালো আইন” বলে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, ঢাকায় আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে। সরকারি কর্মচারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ১৫ জুনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হবে। সরকারি অফিসগুলিতে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।