/anm-bengali/media/media_files/j0Z0WtGQemMweQgsI1XC.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা : সাত বছর ধরে সন্তান ধারণের চেষ্টা করার পর অবশেষে গত সপ্তাহে লন্ডনের লিন্ডসে পিয়ার্স (৩৫) এবং টিম পিয়ার্স (৩৪) বাবা-মা হলেন। শনিবার তাঁদের কোল আলো করে আসে থাডিয়াস ড্যানিয়েল পিয়ার্স।
এই শিশুটির জন্ম হয়েছে একটি ৩০ বছরের পুরনো ভ্রূণ থেকে। এই ভ্রূণটি ১৯৯৪ সালে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ভ্রূণগুলির উৎস ছিলেন বর্তমানে ৬২ বছর বয়সী লিন্ডা আর্চার্ড। সেইসময়ে মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি হয়েছিল, যার মধ্যে একটি লিন্ডা আর্চার্ডের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল এবং তার ফলে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, যার বয়স এখন ৩০ এবং তার নিজেরও একটি ১০ বছর বয়সী সন্তান আছে। বাকি তিনটি ভ্রূণ হিমায়িত (cryopreserved) করে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/8UXYRKjqHNKgdkCfHooC.jpg)
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, লিন্ডা আর্চার্ডের বিবাহবিচ্ছেদের পর এই ভ্রূণগুলির হেফাজত তার কাছেই ছিল। এরপর তিনি নাইটলাইট ক্রিশ্চিয়ান অ্যাডপশনস এবং তাদের "স্নোফ্লেকস" প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দাতা তার ধর্ম এবং জাতিগত পরিচয়ের মতো মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে দত্তক নেওয়া পরিবার নির্বাচন করতে পারেন। লিন্ডা আর্চার্ডের পছন্দ ছিল তার ভ্রূণটি যেন শ্বেতাঙ্গ, খ্রিস্টান, এবং বিবাহিত কোনও দম্পতির দ্বারা "দত্তক" নেওয়া হয়।
এরপর গত বছর নভেম্বরে, প্রায় ৩০ বছর ধরে তরল নাইট্রোজেনে হিমায়িত অবস্থায় থাকার পর একটি ভ্রূণ লিন্ডসে পিয়ার্সের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়।
এই বিষয়ে লিন্ডা আর্চার্ড এমআইটি টেকনোলজি রিভিউকে জানান, "লিন্ডসে যখন আমাকে তার (শিশুর) ছবি পাঠায়, তখন প্রথম যে জিনিসটি আমার চোখে পড়ে তা হল, ছোটবেলায় আমার মেয়েও ঠিক একই রকম দেখতে ছিল। আমি আমার বেবি বুক বের করে পাশাপাশি রেখে তুলনা করি, এবং এতে কোনও সন্দেহ নেই যে তারা সহোদর।"
এই ভ্রূণটি যে ক্লিনিকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, সেটি পরিচালনা করেন জন গর্ডন। তিনি একজন প্রজনন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এবং একজন সংস্কারবাদী প্রেসবিটারিয়ান, যিনি হিমায়িত ভ্রূণের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য কাজ করছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমাদের কিছু নির্দিষ্ট পথনির্দেশক নীতি রয়েছে। প্রতিটি ভ্রূণেরই পৃথিবীর আলো দেখার অধিকার আছে এবং একটি ভ্রূণকে রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপনের সুযোগ না দিলে সেটি থেকে কখনোই একটি সুস্থ শিশুর জন্ম হতে পারে না।"
এই সাফল্য সম্পর্কে লিন্ডসে এবং টিম পিয়ার্স এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ক্লিনিকে তাদের যে ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, তা তাদের জন্য অপরিহার্য ছিল। লিন্ডসে পিয়ার্স বলেন, "আমরা কোনও রেকর্ড গড়ার কথা ভেবে এতে ঢুকিনি, আমরা শুধু একটি সন্তানের বাবা-মা হতে চেয়েছিলাম।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি আগের একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, যখন ২০২২ সালে ওরেগনে, ১৯৯২ সালের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে দুটি যমজ শিশুর জন্ম হয়েছিল।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us