ভারতের পর এবার চাঁদে বাংলাদেশ!

ভারত পৌঁছে গেছে চাঁদে। যে স্থানে কেউ যেতে পারেনি সেই দক্ষিণ মেরু জয় করেছে চন্দ্রযান ৩। এদিকে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ কী পরিকল্পনা করছে আগামীকালের জন্য?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
Sparrso_logo

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান ৩। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে ‘প্রজ্ঞান’। এই সময় প্রতিবেশী বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণায় কতটা এগিয়ে গিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় ৪২ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান স্পারসো। স্পারসো স্থাপিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১২ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু–১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান ও রকেট প্রস্তুতকারক এবং উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। বাংলাদেশের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা হলেও স্পারসো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। 

তবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হতে হলে নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রযুক্তি প্রোগ্রাম থাকতে হয়। সেটা এখন নেই স্পারসোতে। এছাড়া স্পারসোর মহাকাশ উৎক্ষেপণ স্টেশন, কক্ষপথ, নিজস্ব স্যাটেলাইট এবং এই সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত কোনও গবেষণাগারও স্থাপন করা হয়নি। এই বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তদের প্রশ্ন করে জানা গিয়েছে যে বিদেশি অনুদানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে সাধারণ মানের একটি গ্রাউন্ড স্টেশন। এছাড়া বাংলাদেশে মহাকাশ প্রযুক্তির আর কোনও পরিকাঠামো এখন তৈরী করা নেই। ২০২০ সালে মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে স্পারসো বেশ কয়েকটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কিন্তু সেই পরিকল্পনার রূপায়ণ করতে করতে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। নানা দিক থেকে চ্যালেঞ্জের কারণেই স্পারসোর গতি স্লথ বলে মেনে নিচ্ছেন আধিকারিকরা।

impact