যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’: ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে পেন্টাগনের বক্তব্য

ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে পেন্টাগনের বক্তব্য।

author-image
Aniket
New Update
Screenshot 2025-07-08 10.07.51 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এটি সত্যিই একটি ঐতিহাসিক মিশন যা মার্কিন সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও সাহসিকতা সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। অপারেশন মিডনাইট হ্যামার নতুন করে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছে, এটি আফগানিস্তানে যা ঘটেছিল তার বিপরীত চিত্র দেখিয়েছে। আপনারা দেখেছেন, বাইডেন আফগানিস্তানে কী ধরনের বিপর্যয় ঘটতে দিয়েছিলেন এবং সেটি আমাদের ভাবমূর্তিকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।”

এ সময় হেগসেথ জানান, এই অভিযান ছিল একটি স্পষ্ট বার্তা—যুক্তরাষ্ট্র হুমকি সহ্য করবে না এবং প্রয়োজনে আগ্রাসীভাবে ব্যবস্থা নেবে। মধ্যরাতে পরিচালিত এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের স্টিলথ বোমার্ডার, ড্রোন ও সাইবার ইউনিট ব্যবহার করে ইরানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক গবেষণা ও সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, ফোর্ডো ও নাতানজের মতো স্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এই অভিযানের পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ও চীন এই হামলাকে উস্কানিমূলক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইতিমধ্যে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বলে জানা গেছে। তেহরানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং ইরানি সামরিক বাহিনী ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

হেগসেথ স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু যদি আমাদের জাতীয় স্বার্থ হুমকির মুখে পড়ে, তবে আমরা নিরুত্তর থাকব না। অপারেশন মিডনাইট হ্যামার ছিল সেই সংকল্পেরই প্রতিফলন।”

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান সরকার হামলার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।