তীব্র জল সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শহর, ভয়াবহ পরিস্থিতি

তীব্র জল সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দোনেৎস্ক শহর। একদিকে যুদ্ধ অপরদিকে জল সংকটের ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শহরে। 

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
dd

নিজস্ব সংবাদদাতা: তীব্র জল সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দোনেৎস্ক শহর। তবে সম্পূর্ণ দোনেৎস্ক এলাকা নয়, রাশিয়ান অধিকৃত দোনেৎস্ক এলাকায় জল সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্ব-ঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধান ডেনিস পুশিলিনের মতে, ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের রাশিয়ান-অধিকৃত অংশে জল সরবরাহ বিপজ্জনকভাবে কমছে। অনেক পরিবার প্রতি তিন দিনে মাত্র দুই ঘন্টা করে জল সরবরাহ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, রাশিয়ান অধিকৃত দোনেৎস্ক শহরটি তার জলের প্রধান উৎস একটি খাল যা পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর চাসিভ ইয়ার এবং বাখমুতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সেই উৎসটিকেই বর্তমানে হারিয়েছে। পুশিলিন জানিয়েছেন, বর্তমানে সিভারস্কি ডোনেটস নদী থেকে একটি বিকল্প খাল সম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। যা জল সংকট থেকে মুক্তি দেবে বলে মত পুশিলিনের। খালের কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, "জল সংকটের মত সমস্যার সমাধানের জন্য সামরিক বাহিনী সম্ভাব্য সবকিছু করছে"। বর্তমানে তাৎক্ষণিক জলের সংকট মোকাবেলা করার জন্য পুশিলিন জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার ডন নদীতে জলের পাইপলাইন তৈরি করা হচ্ছে। এটি কেবলমাত্র পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি করবে বলে মত পুশিলিনের। তবে এর ফলে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সামগ্রিকভাবে জল সরবরাহ বাড়াবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুশিলিন আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের খনি থেকে পাম্প করা জল ব্যবহার করছেন। তবে খনির জল সরবরাহের জন্য অপর্যাপ্ত মানের বলে জানিয়েছেন তিনি। দোনেৎস্কের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জলের পরিস্থিতি খুবই কঠিন, বিশেষ করে বহুতল ভবনের উপরের তলায় জলের সমস্যা ক্রমশই বাড়ছে। তবে সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুশিলিন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের দোনেৎস্কে রাশিয়ান বাহিনী ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে লড়াই ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দোনেৎস্কের কিছু অংশ রাশিয়ান বাহিনী নিজেদের দখলে নিয়েছে। কিছু অংশ এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর অধীনে রয়েছে। একে যুদ্ধ তার ওপর জলের সংকট কার্যত খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে রাশিয়ান অধিকৃত দোনেৎস্কে। দ্রুত ব্যবস্থা না হলে সাধারণ মানুষ চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।