সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি বলেছেন, সেনাদের ওপর বোমা হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনায় বসবেন না।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি বলেছেন, সেনাদের ওপর বোমা হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনায় বসবেন না। ক্ষমতার দখল নিয়ে সুদান সেনাপ্রধান এবং আরএসএফ প্রধানের মধ্যে যে রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তার জেরে বলি হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করা হলেও মাঝে মাঝে তা ভেঙে যাচ্ছে।
এই মূহূর্তে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে বসে রয়েছে সুদানে বসবাসকারী সৌদি, আমেরিকা, ব্রিটেন সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে সুদানে বসবাসকারী নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খার্তুমে পানীয় জল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সবই যেন আস্তে আস্তে শেষের পথে।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত চলছে, তা থামাতে বিবাদমান দু’পক্ষকে বার বার যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়ে শান্তি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু সেসব আহ্বানে তেমন কাজ হচ্ছে না। বরং দেখা গেছে— দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত অব্যাহত আছে।
এই পরিস্থিতিতে জেনারেল হেমেদতি জানিয়েছেন, তৃতীয় দফায় তিনদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরেও তার সেনাদের ওপর অবিরাম বোমা হামলা হচ্ছে। তিনি চলমান সহিংসতার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সুদানকে ধ্বংস করতে চাই না।’
আরএসএফের প্রধান জানান, জেনারেল বুরহানের সঙ্গে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। সুদানের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের ঘনিষ্ঠদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার জন্য বুরহানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে বশিরের নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ এতে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এর মূল নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং জেনারেল হেমেদি।
হেমেদি বলেন, ‘আরএসএফ সদস্যরা সেনাবাহিনীর শত্রু ছিল না। সংকটকালে দেশকে রক্ষায় সেনাবাহিনী ও আরএসএফ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে।’