নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দু’দিনের সফরে ফ্রান্সে গিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্যারিসের বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন। শুক্রবার বাস্টিল দিবসের প্যারেডে বন্ধু মোদীকে একেবারে পাশের আসনে বসিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সের জাতীয় দিবসে বেজেছে ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’। ভারত যে তাদের কাছের বন্ধু, তা প্রতি মুহূর্তে বুঝিয়ে দিয়েছেন ম্যাক্রোঁ-ইলিজাবেথরা। আতিথেয়তায় কোনও খামতি রাখতে চাননি। আর এবার দেশে ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রী নমোও ভারত থেকে ভালবাসার ছোঁয়া উপহার দিলেন ম্যাক্রোঁ-ইলিজাবেথদের। চন্দনকাঠের উপর নিখুঁত কারুকার্য করা একটা সুন্দর সেতার উপহার দিয়েছেন বন্ধু ম্যাক্রোঁকে।
শুধু ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জন্যই নয়, তাঁর স্ত্রী ব্রিগিট ম্যাক্রোঁকেও পোচমপল্লি সিল্কের একটি সুন্দর নকশা আঁকা শাড়ি উপহার দিয়েছেন চন্দন কাঠের বাক্সে। এমনই একটি শাড়ি সেগুন কাঠের বাক্সে সাজিয়ে মোদী উপহার দিয়েছেন ম্যাক্রোঁ-জায়াকে।
মোদী প্য়ারিসে পা রাখার সময় তাঁকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন। তাঁর জন্যও মোদী উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন মার্বেলের কাজ করা একটা টেবিল। ভারতের শিল্পকলার এক সুন্দর রঙিন মাস্টারপিস হল এই টেবিলটি।
ফ্রান্সের আইনসভার নেতাদের কথাও ভোলেননি নমো। সেনেটের প্রেসিডেন্ট জেরার্ড লার্চারের জন্য চন্দন কাঠের উপর সুন্দর কারুকার্য করা একটা হাতি নিয়ে গিয়েছেন তিনি। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ইয়াল ব্রাউন পিভেটের জন্য তিনি নিয়ে গিয়েছেন সিল্কের কাজ করা একটা কাশ্মীরি কার্পেট। হাতের সূক্ষ্ম কাজ রয়েছে সেই কার্পেটে।