ওপার বাংলায় দেবী দূর্গার আবাহন

এপার বাংলর মতো মহাসমারোহে দুর্গাপুজো হচ্ছে ওপার বাংলাতেও। সাজো সাজো রব।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
মমমমমম



হবিবুর রহমান, ঢাকা : বাংলাদেশে সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুক্রবার মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে। পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে মন্দির-মণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকঢোল আর কাঁসর বাদ্যে দেবীর বোধন পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা করা হয়েছে। ষষ্ঠী তিথিতে মণ্ডপে-মন্দিরে সন্ধ্যায় বিল্ব বৃক্ষ বা বেল গাছের পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আবাহন করা হবে। আগামি মঙ্গলবার দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার বাংলাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪০৭টি। ঢাকাতে ২৪৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণ বাহারি সব রং আর কাঠ-কাপড়ের ফ্রেমের কারুকাজ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রং-বেরংয়ের আলোর ছটা সৌন্দর্যের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বাঁশ বেঁধে আগত নারী-পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক স্থান তৈরি করা হয়েছে। ঢাকার জমকালো দুর্গাপূজার মধ্যে বনানী মাঠের পূজা অন্যতম। এবারও সেখানে ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়েছে। গুলশান-বনানী পূজা উদ্যাপন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্যান্ডেল থেকে শুরু করে প্রতিমা তৈরি, সাজসজ্জা ও আলোক ছটাতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। দেশীয় পণ্যের ঐতিহ্য দিয়ে পুরো পূজা মণ্ডপটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঢাকার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণেও দুর্গাপূজার জমকালো আয়োজন করা হয়েছে। হলদে বর্ণের বাঁশের বেড়া দিয়ে পূজার মূল মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন কারুকাজ ও নানা রঙে প্রতিমাগুলোকে ফুটিয়ে তেলা হয়েছে। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিকের মোহনীয় রূপ পথচারীদেরও নজর কাড়ছে। পূজা প্রাঙ্গণ ও রাস্তার দুই ধারের পুরোটা রঙিন আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। রমনা কালীমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, ধানমন্ডির রায়বাজার নিমতলা মন্দির, আখড়া মন্দির, দুর্গা মন্দির, স্বামীবাগের লোকনাথ মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, শাঁখারী বাজার, বনশ্রী, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন স্থানে শারদীয়া দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এসব মণ্ডপে পূজার ৫ দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

hiring.jpg