জানেন হামাস কী এবং কীভাবে উৎপত্তি হল হামাসের ?

১৯৪৭ সালে দেশভাগের যে পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে, তাতে ঠিক হয়েছিল যে ব্রিটিশদের হাতে থাকা প্যালেস্তাইনকে দুটি ভাগে ভাগ করা হবে। একটি দেশ হবে ইহুদিদের জন্য। অপর দেশটি আরবীয়দের জন্য হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল।

author-image
Adrita
New Update
x

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৭ অক্টোবর, শনিবার সকালে গাজা ভূখণ্ড থেকে রকেট হানার পর ভূমি, জল ও আকাশপথে ইজরায়েলে আক্রমণ চালিয়েছে ‘জঙ্গি সংগঠন’ হামাস। মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। কিন্তু জানেন হামাস কী এবং কীভাবে উৎপত্তি হল হামাসের ? 

অনেকের মতে, এবার হামাস যে হামলা চালিয়েছে, তাতে তৃতীয় 'ইন্তিফাদা'-র সূচনা হল। 'ইন্তিফাদা' হল একটি আরবিক শব্দ। অর্থ হল যে 'নাড়িয়ে দেওয়া'। যে শব্দ ১৯৮৭ সাল থেকে ব্যাপক আকারে ব্যবহৃত হতে থাকে। একটি মহলের বক্তব্য, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং গাজায় ইজরায়েলের উপস্থিতির বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ গড়ে তোলা হয়, তা ব্যাখ্যা করতেই 'ইন্তিফাদা' শব্দ ব্যবহার করেন প্যালেস্তাইনিরা।

hiring.jpg

প্রথম 'ইন্তিফাদা' শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। চলেছিল ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় 'ইন্তিফাদা'-র সূচনা হয়েছিল ২০০০ সাল। চলেছিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় 'ইন্তিফাদা' সমাপ্ত হওয়ার পরেও ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সংঘাত কমেনি। একাধিক মহলের দাবি, প্যালেস্তাইনি ভূখণ্ডে নিজেদের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়াতে থাকে ইজরায়েল। আবার হামাস, প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মতো প্যালেস্তাইনি সংগঠন 'সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম' বাড়াতে থাকে। ১৯৮৭ সালে প্রথম 'ইন্তিফাদা'-র সূচনার পর হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া (হামাস) তৈরি করেছিলেন প্যালেস্তাইনি ধর্মগুরু শেখ আহমেদ ইয়াসিন। যা প্যালেস্তাইনের বৃহত্তম বিচ্ছিন্নতাবাদী ইসলামিক গোষ্ঠী এবং ওই অঞ্চলের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল। বর্তমানে গাজা স্ট্রিপের ২০ লাখের বেশি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে হামাস। যে সংগঠনকে জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইজরায়েল, আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অন্যান্য একাধিক দেশ। 

hiring 2.jpeg

আশির দশকের শেষলগ্নে তৈরি হলেও নব্বইয়ের দশকে স্বাক্ষরিত অসলো শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করে মূলত উত্থান হয়েছিল হামাসের। বেড়েছিল গুরুত্ব। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হামাসের বক্তব্য ছিল, শান্তিচুক্তিতে যে দ্বিরাষ্ট্র তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে, তাতে প্যালেস্তাইনের মানুষদের অধিকার খর্ব হবে। সেই শান্তিচুক্তি যাতে বাতিল করে দেওয়া হয়, সেজন্য একাধিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল হামাস। তার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ইজরায়েলের অসংখ্য মানুষের। ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে গোষ্ঠীর এক বড় ‘নেতার’ মৃত্যুর পর হামলার মাত্রা বাড়িয়েছিল হামাস। যে 'নেতা' বোমা বানানোর নেতৃত্বে ছিলেন। সেই লাগাতার বিস্ফোরণের জেরে শান্তিচুক্তি থেকে ইজরায়েল সরে গিয়েছিল বলে একাধিক মহলের দাবি।