/anm-bengali/media/media_files/uFNakYT0BliSt0vJux7H.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ইসরায়েল রাষ্ট্র আজ সন্ত্রাসের হানাহানিতে বিধ্বস্ত হয়েছে। হামাদ দস্যুরা ইসরায়েলের গাজা শহরের বুকে রকেট নিক্ষেপ করে তাকে ধ্বংস করতে চাইছে। এখনও অবধি বহু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। তবে জানেন কি এই ইহুদি বনাম আরবীয় এই দ্বন্দ্ব কবেকার ?
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল, সেটার ফল হিসেবে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনে। শনিবার সকালে গাজা ভূখণ্ড থেকে রকেট হানার পর ভূমি, জল ও আকাশপথে ইজরায়েলে আক্রমণ চালিয়েছে ‘জঙ্গি সংগঠন’ হামাস। মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। পালটা জবাব দিয়েছে ইজরায়েলও। সেইসবের মধ্যে লেবানন থেকেও রকেট ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল-আভিভ।
/anm-bengali/media/media_files/WbHH0Wlrtr7ktoPk5ILR.jpg)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্য পরাজিত হওয়ার পরে প্যালেস্তাইনের দখল নিয়েছিল ব্রিটেন। যেখানে ইহুদিরা সংখ্যালঘু ছিলেন। আর সংখ্যাগুরু ছিলেন আরবের মানুষ। প্যালেস্তাইনকে ইহুদিদের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্রিটেনেকে দায়িত্ব দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল। তার জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েন বাড়তে শুরু করেছিল। ১৯২০-র দশক থেকে ১৯৪০-র দশকে প্যালেস্তাইনে লাফিয়ে-লাফিয়ে ইহুদি অভিবাসীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। যাঁরা মূলত গণহত্যার জেরে ইউরোপ ছেড়ে পালিয়ে এসেছিলেন প্যালেস্তাইনে। সেই পরিস্থিতিতে দুই গোষ্ঠীর (ইহুদি ও আরবীয়) মধ্যে সংঘাত আরও বাড়তে শুরু করেছিল। ঘোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছিল সমস্যা। সেইসঙ্গে ইহুদিদের জন্য পৃথক দেশ গড়ে তোলার দাবিও ক্রমশ জোরালো হতে শুরু করেছিল। সেই পথ ধরেই রাষ্ট্রসংঘ এবং ব্রিটেনের সাহায্যে জন্ম হয় ইজরায়েলের। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের যে পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে, তাতে ঠিক হয়েছিল যে ব্রিটিশদের হাতে থাকা প্যালেস্তাইনকে দুটি ভাগে ভাগ করা হবে। একটি দেশ হবে ইহুদিদের জন্য। অপর দেশটি আরবীয়দের জন্য হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। তবে সেই পরিকল্পনা ঘিরে ঐক্যমত তৈরি হয়নি। বরং প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই যুদ্ধ শুরু বেঁধে গিয়েছিল। যে যুদ্ধে সামিল হয়েছিল প্রতিবেশী একাধিক আরব দেশ।
/anm-bengali/media/media_files/zzZDE8LQjQYMWVzYTl0x.jpeg)
১৯৪৯ সালে প্রথম আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ শেষ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে জিতেছিল ইজরায়েল। কিন্তু লাখ-লাখ প্যালেস্তাইনি নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন বা তাদের উৎখাত করা হয়েছিল। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘরছাড়া হয়েছিলেন ৭.৫ লাখ প্যালেস্তাইনি। যে ঘটনাকে 'আল নকবা' বা বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us