আফগানিস্তানের জলচক্রে জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব, ঘরছাড়া লক্ষাধিক মানুষ

খরা থেকে বন্যা: আফগানিস্তানের জলচক্রে জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব, ঘরছাড়া লক্ষাধিক মানুষ।

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Screenshot 2025-08-17 10.13.24 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা: আফগানিস্তানের জলচক্রে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব তীব্র আকার নিচ্ছে। কখনও খরা, কখনও আকস্মিক বন্যা—এই অস্থির পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। বিশেষত গ্রামীণ আফগানিস্তানে পানীয় জলের সংকট প্রকট আকার নিয়েছে।

শুষ্ক ও অনাবৃষ্টিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে মহিলারা ও কিশোরীরা ঐতিহ্যগতভাবেই পরিবারের জন্য জল সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে সেই যাত্রা আগের তুলনায় আরও দীর্ঘ ও কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক গ্রামেই নিকটবর্তী জলস्रोत শুকিয়ে যাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে দূরবর্তী ঝরনা বা কূপে যেতে হচ্ছে। এতে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জাতিসংঘের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের একাধিক প্রদেশে গড় বৃষ্টিপাতের তারতম্য ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলসংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। খরার পর হঠাৎ বন্যার ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে, পশুপালন ধ্বংস হচ্ছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির অনেকেই ইতিমধ্যেই শহরমুখী হয়েছে। তবে শহরগুলিতেও কাজ ও আশ্রয়ের সংকট চরমে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি আশঙ্কা করছে, আগামী দিনে খাদ্য সংকট ও জলের অভাব আফগানিস্তানে মানবিক সঙ্কট আরও বাড়িয়ে তুলবে।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘ পথ হেঁটে জল আনার এই চাপ নারীদের উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে গভীর প্রভাব ফেলছে। একই সঙ্গে বাড়ছে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য ও সহিংসতার ঝুঁকি।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এই বিপর্যয় রুখতে আন্তর্জাতিক সহায়তা ও টেকসই জলের পরিকাঠামো নির্মাণ এখন আফগানিস্তানের জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।