রেড সি-তে কেবল ক্ষতিগ্রস্ত, ভারত-পাকিস্তানসহ একাধিক দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত!

ভারত-পাকিস্তানসহ একাধিক দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Screenshot 2025-09-07 2.29.11 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা: রেড সি-তে সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারত, পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত কেবলের মধ্যে রয়েছে South East Asia-Middle East-Western Europe 4 (SMW4) এবং India-Middle East-Western Europe (IMEWE), যেগুলি যথাক্রমে টাটা কমিউনিকেশনস এবং আলকাটেল-লুসেন্ট পরিচালিত একটি কনসোর্টিয়ামের অধীনে চালিত।

মনিটরিং গ্রুপ NetBlocks নিশ্চিত করেছে যে, “রেড সি অঞ্চলে একাধিক সাবসি কেবল বিকল হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানসহ বহু দেশের ইন্টারনেট সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তাদের Azure ক্লাউড সার্ভিস-এও ব্যাঘাত ঘটেছে। কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়া রুটগুলোতে গ্রাহকরা বাড়তি লেটেন্সি বা বিলম্ব অনুভব করছেন। তবে যেসব নেটওয়ার্ক রুট মধ্যপ্রাচ্যের উপর দিয়ে যায় না, সেগুলি এই সমস্যায় পড়েনি।

পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (PTCL) ক্ষতিগ্রস্ত কেবলের বিষয়টি স্বীকার করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও রাষ্ট্রায়ত্ত নেটওয়ার্ক Du এবং Etisalat ব্যবহারকারীরা ধীরগতির ইন্টারনেটের অভিযোগ জানিয়েছেন।

কীভাবে হলো ক্ষতি?

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মতে, সাবসি কেবল মূলত বৈশ্বিক ইন্টারনেট সংযোগের মেরুদণ্ড। এগুলো দুর্ঘটনাবশত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যেমন জাহাজের নোঙরের কারণে, আবার ইচ্ছাকৃতভাবেও আক্রমণ হতে পারে। সাধারণত এই ধরনের কেবল মেরামতে বিশেষ জাহাজ ও দক্ষ কর্মীদের প্রয়োজন হয় এবং পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায়।

ঘটনাটি এমন সময় ঘটল, যখন রেড সি অঞ্চলটি ক্রমশ সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠছে। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা গত কয়েক মাস ধরে ওই অঞ্চলে একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। যদিও ইয়েমেন সরকার আগেও হুথিদের সাবসি কেবল টার্গেট করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিল, বিদ্রোহীরা তা অস্বীকার করেছে। তবে রবিবার হুথিদের আল-মাসিরাহ টিভি নেটওয়ার্ক কেবল ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা বলেনি।

২০২৩ সালের শেষ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হুথি বাহিনী অন্তত ১০০-র বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে, চারটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে এবং অন্তত আটজন নাবিক নিহত হয়েছেন। পাল্টা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রবাহিনী একাধিক হামলা চালিয়েছে, আর ইসরায়েলও গাজায় হামাসবিরোধী সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।