/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/n7bMV3cL0trIE1fdhSDG.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স রবিবার টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ শহরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চলতি সপ্তাহান্তে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার ঘটনাকে ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেন এবং দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমরা ইতিহাসকে পুনরাবৃত্তি হতে দিতে পারি না।”
ভেরমন্টের এই প্রগতিশীল সিনেটর তার “Fighting Oligarchy” ট্যুরের অংশ হিসেবে আয়োজিত জনসভায় বলেন, আজ আমরা সেই একই ভাষা শুনতে পাচ্ছি যা দুই দশক আগে ইরাক যুদ্ধের আগে ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার পক্ষে যেভাবে কথা বলেছেন, তা অবিকল মিলে যায় ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় নেতানিয়াহু ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের বক্তব্যের সঙ্গে।
স্যান্ডার্স স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০২ সালে মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া এক সাক্ষ্যে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “সাদ্দাম হোসেন নিশ্চিতভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে।” এরপর স্যান্ডার্স উল্লেখ করেন, জর্জ বুশ বলেছিলেন, “সাদ্দামের সরকার একটি পারমাণবিক বোমা বানাতে চাচ্ছে,” এবং তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র আর অপেক্ষা করতে পারে না, কারণ সেই “ধূমায়িত বন্দুক” একটি পারমাণবিক মেঘে রূপ নিতে পারে।
/anm-bengali/media/post_attachments/bb569f08-bd4.png)
স্যান্ডার্স বলেন, “কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্র কখনো পাওয়া যায়নি। সেই যুদ্ধ ছিল একটি মিথ্যার উপর ভিত্তি করে। একটি মিথ্যা যা আমাদের ৪,৫০০ তরুণ আমেরিকান প্রাণ, ৩২,০০০ আহত এবং ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করিয়েছে।”
২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বুশ, যার প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছিল যে ইরাককে অস্ত্রহীন করা হবে। পরে সেই দাবি ভুল প্রমাণিত হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমানে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প দুজনেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে এক নম্বর বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করছেন। হোয়াইট হাউস থেকে শনিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাস-সমর্থক রাষ্ট্র থেকে আসা পারমাণবিক হুমকি রোধ করা।”
স্যান্ডার্সের এই বক্তব্য এখন নতুন করে সেই প্রশ্ন উত্থাপন করছে—আমরা কি আবার একটি পুরনো ভুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি? আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল ও নাগরিক সমাজ এই পরিস্থিতির গভীর পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ একবার ভুল পথে গেলে তার মাশুল দিতে হয় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us