অবশেষে এল ঐতিহাসিক মুহুর্ত, গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য স্বাক্ষরিত হল শান্তিচুক্তি

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজার পুনর্গঠনের পথ খুলে গেল।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
Trump

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্ব রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল শার্ম এল-শেখ। মিশরের এই উপকূলীয় শহরে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে স্বাক্ষরিত হল এক গুরুত্বপূর্ণ শান্তিচুক্তি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই চুক্তিতে সহ-স্বাক্ষর করেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি।

ট্রাম্প এই ঐতিহাসিক ঘোষণাকে অভিহিত করেছেন “একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ভোর” হিসেবে। তাঁর বক্তব্য, “আমরা সবাই একমত যে গাজাকে সাহায্য করতে হবে, কিন্তু সেই সাহায্য যেন কখনও রক্তপাত, ঘৃণা বা সন্ত্রাসকে পুষ্ট না করে”।

এই শীর্ষ সম্মেলনে ৩০টিরও বেশি দেশ অংশ নেয়। দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজার পুনর্গঠনের পথ খুলে গেল। তবে চুক্তি অনুযায়ী, গাজার সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের পরই পুনর্গঠন শুরু হবে।

Gaza

উল্লেখযোগ্যভাবে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তি প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এটি “একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক” বলে মন্তব্য করেছেন।

ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মিশরের প্রেসিডেন্ট এল-সিসিকে, যিনি মধ্যস্থতার ভূমিকা নিয়ে এই চুক্তিকে সফল করেন।

এই শান্তিচুক্তির মাধ্যমে গাজা অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার আশা জাগছে। আন্তর্জাতিক মহলের প্রত্যাশা—এই যুদ্ধবিরতি নতুনভাবে গড়ে তুলবে গাজা, যেখানে থাকবে উন্নয়ন, কোনও উত্তেজনা না।