হু হু করে জল বাড়ছে নদীর, ভেঙে পড়ল বাড়ি

দেশের একাধিক রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দিল্লি থেকে শুরু করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যার জেরে সাধারণ মানুষের জীবন যেন থমকে গিয়েছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
weather haryana.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হরিয়ানাও (Haryana)। আজ হরিয়ানার যমুনানগরের হাথনিকুন্ড ব্যারেজের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে প্লাবনভূমির পাশে অবস্থিত বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে জলের মধ্যে একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

 

হরিয়ানার বেশ কয়েকটি জেলায় অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে রাজ্যের ছয়টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ঘাগর, টাংরি ও মারকান্দা নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

 

ভারী বৃষ্টির কারণে আম্বালার জিটি রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আম্বালায় ঘাগরের জল হাইওয়েতে পৌঁছেছে। এর ফলে পাঞ্জাবের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হরিয়ানার। এ সময় আলীপুর থেকে মুলানা এলাকার ধানাউড়াগামী মোটরসাইকেল আরোহী জলে পড়ে যায়। যার কারণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে যমুনানগরের বিলাসপুর মহকুমার পিলখান ওয়ালা গ্রামে বৃষ্টির জলে ডুবে ১১ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  

 

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদীগুলির স্রোতের কারণে আম্বালায় বন্যা পরিস্থিতির প্রভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে রেলওয়েতেও এর প্রভাব দেখা দিয়েছে। সোমবার কুরুক্ষেত্র রেল স্টেশনেই ১২২১৭ নম্বর যোগাযোগ ক্রান্তি ট্রেন থামার পর প্রায় ৫০০ যাত্রী আটকা পড়েন। পরে তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাতটি বাস মোতায়েন করতে হয় রেল বিভাগকে। একই সঙ্গে আরও অনেক ট্রেন এগিয়ে যেতে না পারায় গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীদের জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন রেলকর্মকর্তারা। রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল।

 

কুরুক্ষেত্র স্টেশন মাস্টার বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, আম্বালা থেকে চণ্ডীগড় পর্যন্ত রেললাইনে অতিরিক্ত জল উঠে আসায় রেলওয়ে প্রশাসন একাধিক ট্রেনকে স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে চণ্ডীগড় থেকে আসা ট্রেনগুলিও স্থগিত করা হবে। এ ছাড়া দিল্লি থেকে লুধিয়ানাগামী ট্রেনগুলিকে শুধু আম্বালা পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে রেল প্রশাসন।

 

এদিকে ঘাগর নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ায় গুহলার তাতিয়ানা গ্রামের গ্রামবাসীরা কাইথাল-পাতিয়ালা মহাসড়ক অবরোধ করেন। জ্যামের খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসন যখন জানত যে নদীর জলস্তর বাড়বে, তখন কেন জল থামানোর ব্যবস্থা করা হয়নি।  

 

আম্বালায় বৃষ্টির কারণে নদীগুলি প্লাবিত হচ্ছে। নগরীতে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। ডিসি অফিসেও জল ঢুকেছে, সেইসঙ্গে নারনউলের দোকানগুলোতেও বৃষ্টির জল ঢুকে পড়েছে।