নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ছটপজো। সারা দেশে মহা ধুমধামের সাথে পালন করা হয় এই উৎসব। এই উৎসবটি মূলত অবাঙালিরা পালন করে থাকে। কালীপুজোর ঠিক পাঁচদিন পরেই এই ছট উৎসব শুরু হয়। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে ষষ্ঠী তিথিতে এই ছটপুজোর আয়োজন করা হয়।
সারা দেশেই এই উৎসব পালন করা হয়। সেরকমই রাজধানী দিল্লিতেও প্রতি বছর ধুমধামের সাথে এই উৎসব পালন করা হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই দিল্লির আপ সরকার চলতি বছর ছটপুজো উপলক্ষ্যে কিছু বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া তিনি তার বক্তব্যে কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেছেন। এই প্রসঙ্গে আপ মন্ত্রী আতিশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন যে, '' যখন এখানে বিজেপি এবং কংগ্রেসের সরকার ছিল, তখন আমি মনে করি না ছট পুজোর জন্য দিল্লি জুড়ে কোনও বিশেষ ঘাট তৈরি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে ১০০টি নতুন ঘাট তৈরি করা হয়েছে। আজ দিল্লি জুড়ে প্রায় ১০০০ টিরও বেশি ছট পুজোর জন্য ঘাট রয়েছে। এটি করা হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের আমলে। আমি কংগ্রেস এবং বিজেপি সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনারা আপনাদের শাসিত রাজ্যগুলিতে ছট পুজোর জন্য কী ব্যবস্থা করেন ? "
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন যে " দিল্লির মানুষের জন্য ছট পুজো একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। পূর্বাঞ্চলীয় ইউপি এবং বিহারের বিপুল সংখ্যক পূর্বাঞ্চালী লোক দিল্লিতে বসবাস করে। পূর্বাঞ্চলিরা যাতে দিল্লিকে তাদের বাড়ি বলে মনে করে তা নিশ্চিত করার জন্য ২০১৫ সাল থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার ছটের জন্য ব্যাপক আয়োজন করেছেন সমগ্র দিল্লিতে। আমরা এই মুহূর্তে একটি ঘাটে দাঁড়িয়ে আছি। এরকম আরও ১০০০টি অনুরূপ ঘাট দিল্লিতে রয়েছে, যেখানে সমস্ত ব্যবস্থা করে রেখেছে দিল্লি সরকার। তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে সম্পূর্ণ খেয়াল রেখেছে দিল্লি সরকার। "
ছটের আগে যমুনা নদী পরিষ্কার করা হয়েছে। এই বিষয়ে দিল্লির আপ মন্ত্রী আতিশি বলেছেন, " যমুনার বিষাক্ত ফেনা অপসারণ করতে সেখানে খাদ্য-গ্রেডের রাসায়নিক এবং এনজাইম ছেটানো হচ্ছে। গতকাল রাতে ১০টি নৌকায় করে এনজাইম ছেটানোর কাজ শুরু করেছে। দুদিনের মধ্যেই বিষাক্ত ফেনা সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে। কিন্তু আমি উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অনুরোধ করতে চাই যে তাদের দূষিত জল দিল্লিতে না পাঠাতে। "