/anm-bengali/media/media_files/2025/01/31/wNe7d9MckOzr0M2nneQa.jpeg)
ফাইল চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা: মৃত্যুদণ্ডের সাজা কি আর ফাঁসি নয়, বরং প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনেই কার্যকর হবে? এই প্রশ্ন ঘিরে শুরু হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আইনি লড়াই। ফাঁসির বদলে মানবিক মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় আজ শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, এখনই ফাঁসির বিকল্প কোনও পদ্ধতি চালু করতে তারা প্রস্তুত নয়।
আজ বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। আদালত পর্যবেক্ষণ করে বলে, “সমস্যা হল, সরকার এখনও সময়ের সঙ্গে বিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়। ফাঁসি একটি বহু পুরনো পদ্ধতি, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই বদলেছে”।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা আদালতে বলেন, “বন্দিদের অন্তত বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক — তাঁরা ফাঁসিতে মরতে চান, না প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনে। প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন ফাঁসির তুলনায় অনেক বেশি মানবিক ও দ্রুত কার্যকর। ফাঁসিতে মৃত্যু হতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগে, যা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক”।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/04/23/Id2Mcz7nko0mqEslrWjK.jpg)
তিনি আরও যুক্তি দেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টির মধ্যে ৪৯টি রাজ্যেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে। এমনকি সামরিক বাহিনীতেও বন্দিদের বিকল্প পদ্ধতি বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী সনিয়া মাথুর পাল্টা জানান, “এই বিষয়টি কেবল আইনি নয়, এতে নীতিগত সিদ্ধান্তও জড়িত। বর্তমানে ফাঁসির পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রশ্নে সরকার একমত নয়”।
কেন্দ্র তার হলফনামায় জানায়, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন প্রবর্তনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এতে প্রশাসনিক, চিকিৎসাগত ও নৈতিক জটিলতা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আপাতত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১১ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us