ক্লাসভর্তি দেহ, গড়াচ্ছে রক্ত! স্কুলে যেতে আতঙ্ক বাহানাগার পড়ুয়াদের
বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনার মতো ভয়াবহতা এর আগে দেশ দেখেনি। অজস্র দেহ এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে যেগুলির শনাক্তকরণ করা যায়নি। এই অবস্থায় রাতারাতি একটা হাইস্কুল পরিণত হয়েছে শবগৃহে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কালো বোর্ডে চক দিয়ে লেখা রয়েছে অঙ্কের ফর্মুলা। সেই ঘরেই থরে থরে সাজানো করমণ্ডল, হামসফর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত একাধিক দেহ। এই মুহূর্তে গরমের ছুটি চলছে বাহানাগা হাই স্কুলে। এই স্কুলকে প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে মর্গ হিসেবে। এত দেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারীরা সিদ্ধান্ত নেন প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করা দেহগুলি স্কুলেই রাখা হোক।
ঘটনার ৪ দিন পরেও অজস্র দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তাই সেই দেহগুলি সেখানেই রয়ে গেছে। কোনওটি পচেগলে বিকৃত হয়েছে আবার কোনও দেহ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্তরস। এক ছাত্র স্কুলে দেহ নিয়ে যেতে দেখেছে। ১৮ জুন স্কুল খুলবে। এবার সেই স্কুলে আবার যাওয়ার কথা ভাবলেই গা ছমছম করছে তার। স্কুলের শিক্ষকদের মনে প্রশ্ন উঠছে যে পড়ুয়ারা আসবে তো ক্লাসে?