অপারেশন সিঁদুরের উদ্দেশ্য কি? স্পষ্ট করে দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর

জেনে নিন এই সম্পকে বিশদে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
india vs pakistan

নিজস্ব সংবাদদাতা: হাউসে অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর করলেন বড় দাবি। তিনি বলেন, "পহেলগাঁও হামলার পর একটি স্পষ্ট, দৃঢ় এবং দৃঢ় বার্তা পাঠানো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের লাল রেখা অতিক্রম করা হয়েছিল। এবং আমাদের এটা স্পষ্ট করে বলতে হয়েছিল যে এর ফলে গুরুতর পরিণতি হবে। প্রথম পদক্ষেপটি ছিল ২৩ এপ্রিল ক্যাবিনেট কমিটির নিরাপত্তা সভা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে- ১. ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত থাকবে যতক্ষণ না পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার সমর্থন ত্যাগ করে। ২. ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট আটারি অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৩. SARC ভিসা অব্যাহতি প্রকল্পের অধীনে ভ্রমণকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের আর তা করার অনুমতি দেওয়া হবে না। ৪. পাকিস্তানি হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ৫. হাই কমিশনের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনা হবে"।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "এটা খুবই স্পষ্ট ছিল যে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত প্রথম পদক্ষেপের পর, পহেলগাঁও হামলার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া এখানেই থেমে থাকবে না। কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বৈদেশিক নীতির দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের কাজ ছিল পহেলগাঁও হামলার বিশ্বব্যাপী ধারণা তৈরি করা। আমরা যা করার চেষ্টা করেছি তা হল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের ব্যবহার তুলে ধরা। আমরা পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস এবং কীভাবে এই বিশেষ আক্রমণটি জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনীতিকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য এবং ভারতের জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করার জন্য করা হয়েছিল তা তুলে ধরেছি"।

s jaishankar            n