বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুরু হচ্ছে SIR ফেজ টু — জেনে নিন ধাপে ধাপে কীভাবে করবেন ফর্ম ফিল আপ

৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
election commission  a

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন, আর তার আগেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে SIR (Special Intensive Revision) Phase 2। রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকার এই বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৮ অক্টোবর থেকে, জানাল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রে খবর, ২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রশিক্ষণের কাজ, এরপর ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহের কাজ। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপর ৮ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত চলবে অভিযোগ ও আবেদন গ্রহণ, আর একইসঙ্গে চলবে বাড়ি-বাড়ি ভেরিফিকেশন—যা শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

## অনলাইন ফর্ম ফিল আপ প্রক্রিয়া - 

1. প্রথমে ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করুন “Voter Service Portal”।
2. সেখানে গিয়ে নির্বাচন করুন Enumeration Form।
3. অনলাইন বা অফলাইন—যেভাবে ফর্ম পূরণ করতে চান, তা বেছে নিন।
4. লগইন করুন আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে। যদি আগে অ্যাকাউন্ট না থাকে, আগে সাইন আপ করুন।
5. আপনার EPIC নম্বর (ভোটার আইডি নম্বর) দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিস্টেম আপনার তথ্য তুলে নেবে।
6. এরপর নিজের ছবি (পাসপোর্ট সাইজ) স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
7. তারপর আপডেট করুন জন্মতারিখ, আধার নম্বর (ঐচ্ছিক), বাবার নাম, মায়ের নাম, তাঁদের ভোটার নম্বর (ঐচ্ছিক)।
8. একটি সাদা পাতায় সই করে, সেটি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
9. শেষে সব তথ্য যাচাই করে Submit করুন।

এরপর খুলবে Declaration Page—সেখানে ২০০২ সালের তালিকায় নাম ছিল কি না, তা নির্বাচন করতে হবে। যদি ২০০২ সালের আগে ভোটাধিকার পেয়ে থাকেন, সেই তালিকার নাম ও পুরনো EPIC নম্বর উল্লেখ করতে হবে। কমিশনের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে ২০০২ সালের পুরনো তালিকা—সেখান থেকে নিজের নাম মার্ক করে স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।

publive-image

## যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই

কমিশন জানিয়েছে—যাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই, তাঁদের জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট বা অন্য কোনো সরকারি নথি** দিতে হবে।
১ ১৯৮৭ সালের আগে জন্মানোদের জন্য যেকোনও সরকারি নথি যথেষ্ট।
২ ১৯৮৭–২০০৪ সালের মধ্যে জন্মানোদের দিতে হবে নিজস্ব নথি, সঙ্গে বাবা বা মায়ের ভোটার লিস্টে নামের প্রমাণ।
৩ ২০০৪ সালের পর জন্মানোদের দিতে হবে বাবা ও মায়ের নথি—দু’জনেরই প্রমাণপত্র।
৪ সবশেষে Submit বাটনে ক্লিক করলেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নাগরিকবান্ধব। প্রত্যেক ভোটার যাতে সময়মতো তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তার জন্য জেলা প্রশাসন, বিএলও ও স্থানীয় নির্বাচন অফিসের কর্মীদের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের এই প্রক্রিয়াই নির্ধারণ করবে ২০২৬ সালের ভোটের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা। তাই কমিশনের অনুরোধ—“যত দ্রুত সম্ভব নিজের তথ্য যাচাই করে ফেলুন, যেন গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন”।