/anm-bengali/media/media_files/2025/06/14/LK6cCyc83RJj79CTD4YA.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: এয়ার ইন্ডিয়ার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার চার দিন পর অবশেষে উদ্ধার করা হল ভেঙে পড়া বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স। এই ব্ল্যাক বক্সে রয়েছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (Cockpit Voice Recorder - CVR), যা থেকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগের শেষ মুহূর্তের কথোপকথন সংরক্ষিত রয়েছে। তদন্তকারীরা আশাবাদী, এই রেকর্ডিং থেকেই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বড় ধরনের অগ্রগতি হতে পারে।
এর আগে দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম ব্ল্যাক বক্স, অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হওয়ায় দুই দিকের তথ্য মেলানো সম্ভব হবে, যা তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানাচ্ছে এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)।
রবিবার আহমেদাবাদের সার্কিট হাউসে এই সংস্থার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যসচিব পিকে মিশ্র-র নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন AAIB-এর সিনিয়র আধিকারিকরা। মূলত উদ্ধারকাজ, দেহ শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ সংরক্ষণ, ডিএনএ পরীক্ষার অগ্রগতি এবং তদন্তের দিকগুলি নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা চলে।
এদিকে শুধু জাতীয় পর্যায়েই নয়, এই দুর্ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তও শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। যেহেতু বিধ্বস্ত বিমানটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার — যার নির্মাতা সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত — তাই আন্তর্জাতিক বিমান নিরাপত্তা নীতিমালার অধীনেই এই তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে।
দুর্ঘটনার ঠিক আগে পাইলটরা “মে ডে” কল করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বিপদের সংকেত পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে কোনও প্রতিক্রিয়া সম্ভব হয়নি। চোখের পলকে ভেঙে পড়ে বিমানটি, তার পর মুহূর্তেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এই দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের মাধ্যমে এখন তদন্তের গতি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শিগগিরই এ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা হবে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ। নিখোঁজদের পরিবারের জন্য এ এক নতুন আশার আলো বলেই মনে করা হচ্ছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us