বিরোধী দলগুলি লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে ২৩ জুন বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসবে।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে আগামী ২৩ জুন বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসবে। আগামী ২৩ জুন বিহারের (Bihar) পাটনায় হবে এই বৈঠক। এদিকে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ ২৩ শে জুন অনুষ্ঠেয় মেগা বিরোধী বৈঠককে টার্গেট করেন। তিনি বলেছেন, 'বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে কারণ তাদের কেবল ক্ষমতার ক্ষুধা রয়েছে এবং এটি স্বার্থপর লোকদের মধ্যেকার একটি জোট।‘ এই প্রসঙ্গে এবার গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)।
তিনি আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘বিজেপিতে রবিশঙ্কর প্রসাদের কোনও গুরুত্বই নেই। তার নিজের দল তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছে। আগামী ২৩ তারিখ বিহারের পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠকটি মোদীর বিকল্প দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করার জন্য। মোদী সরকার স্বার্থপর, সাম্প্রদায়িক, সংকীর্ণ মানসিকতা এবং আদানির উপর নির্ভরশীল।‘
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'বিরোধী দলের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। কে হবেন তাদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ? এটা ক্ষমতার জন্য স্বার্থপর লোকদের জোট। এই লোকেরা একা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না, তাই তারা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে।‘
তিনি বলেন, 'ভারত একটি সুনির্দিষ্ট সরকার চায়, এমন একদল মানুষ নয় যারা নিজেদের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যায়। বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে কারণ তারা কেবল ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত এবং এটি স্বার্থপর লোকদের মধ্যে একটি জোট। তারা একসঙ্গে মিলিত হতে পারে এবং খাবার খেতে পারে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না।‘
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ২৩ জুন পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলগুলির কাজ করার জন্য একটি সাধারণ এজেন্ডা নির্ধারণের দিকে মনোনিবেশ করা হবে। যদিও সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না এই বৈঠকে বলে খবর।
এদিকে একে একে বিজেপির সব নেতা, মন্ত্রীই বিরোধীদের এই বৈঠককে আক্রমণ করছেন। বিজেপি বলছে, বিরোধী দলগুলি একা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। সে কারণেই মহাজোটের পথ খুঁজছে বিরোধীরা। এর আগে বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার মোদীও এই বৈঠককে ফ্লপ বলে অভিহিত করেছিলেন।
এদিকে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা (Shehzad Poonawalla) আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘পাটনা, বিহার পাঁচ দশক আগে 'সম্পূর্ণ ক্রান্তি'র ভূমিতে পরিণত হয়েছিল, কিন্তু আজ এটি 'সম্পূর্ণ ভ্রান্তি'র ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। বিরোধী ঐক্যের সেতু নির্মাণের আগেই 'জল সমাধি' হয়ে উঠছে। এইচএএম এবং জিতন রাম মাঝি ইতিমধ্যে চলে গেছেন। কংগ্রেস নেতারা নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করছেন। এটা কী ধরনের জোট হবে যখন তাদের 'চাল, চরিত্র, নেতা, নীতি, অভিসন্ধি' নিয়ে কোনও ঐকমত্য থাকবে না। বিরোধীদের কোনও মিশন বা দৃষ্টিভঙ্গি নেই।‘
#WATCH | "What Ravi Shankar Prasad says has no importance. His own party had dropped him from the ministry. The Opposition meet in Patna on the 23rd is to find out a way to provide an alternative to Modi. Modi's govt has been selfish, communal, narrow-minded and dependent on… https://t.co/kS8Dk6qltkpic.twitter.com/anfnjqwaqZ
'মোদী সরকার স্বার্থপর,' কটাক্ষ সৌগত রায়ের
বিরোধী দলগুলি লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে ২৩ জুন বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসবে।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে আগামী ২৩ জুন বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসবে। আগামী ২৩ জুন বিহারের (Bihar) পাটনায় হবে এই বৈঠক। এদিকে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ ২৩ শে জুন অনুষ্ঠেয় মেগা বিরোধী বৈঠককে টার্গেট করেন। তিনি বলেছেন, 'বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে কারণ তাদের কেবল ক্ষমতার ক্ষুধা রয়েছে এবং এটি স্বার্থপর লোকদের মধ্যেকার একটি জোট।‘ এই প্রসঙ্গে এবার গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)।
তিনি আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘বিজেপিতে রবিশঙ্কর প্রসাদের কোনও গুরুত্বই নেই। তার নিজের দল তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছে। আগামী ২৩ তারিখ বিহারের পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠকটি মোদীর বিকল্প দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করার জন্য। মোদী সরকার স্বার্থপর, সাম্প্রদায়িক, সংকীর্ণ মানসিকতা এবং আদানির উপর নির্ভরশীল।‘
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'বিরোধী দলের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। কে হবেন তাদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ? এটা ক্ষমতার জন্য স্বার্থপর লোকদের জোট। এই লোকেরা একা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না, তাই তারা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে।‘
তিনি বলেন, 'ভারত একটি সুনির্দিষ্ট সরকার চায়, এমন একদল মানুষ নয় যারা নিজেদের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যায়। বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে কারণ তারা কেবল ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত এবং এটি স্বার্থপর লোকদের মধ্যে একটি জোট। তারা একসঙ্গে মিলিত হতে পারে এবং খাবার খেতে পারে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না।‘
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ২৩ জুন পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলগুলির কাজ করার জন্য একটি সাধারণ এজেন্ডা নির্ধারণের দিকে মনোনিবেশ করা হবে। যদিও সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না এই বৈঠকে বলে খবর।
এদিকে একে একে বিজেপির সব নেতা, মন্ত্রীই বিরোধীদের এই বৈঠককে আক্রমণ করছেন। বিজেপি বলছে, বিরোধী দলগুলি একা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। সে কারণেই মহাজোটের পথ খুঁজছে বিরোধীরা। এর আগে বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার মোদীও এই বৈঠককে ফ্লপ বলে অভিহিত করেছিলেন।
এদিকে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা (Shehzad Poonawalla) আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘পাটনা, বিহার পাঁচ দশক আগে 'সম্পূর্ণ ক্রান্তি'র ভূমিতে পরিণত হয়েছিল, কিন্তু আজ এটি 'সম্পূর্ণ ভ্রান্তি'র ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। বিরোধী ঐক্যের সেতু নির্মাণের আগেই 'জল সমাধি' হয়ে উঠছে। এইচএএম এবং জিতন রাম মাঝি ইতিমধ্যে চলে গেছেন। কংগ্রেস নেতারা নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করছেন। এটা কী ধরনের জোট হবে যখন তাদের 'চাল, চরিত্র, নেতা, নীতি, অভিসন্ধি' নিয়ে কোনও ঐকমত্য থাকবে না। বিরোধীদের কোনও মিশন বা দৃষ্টিভঙ্গি নেই।‘