অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা আর ডিএ বৃদ্ধি এবং বেতন কমিশনের সুবিধা পাবেন না!

কী বলছে নতুন আইন?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
money

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকার অর্থ আইন ২০২৫ পাশ করেছে যা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবসর-পরবর্তী সুবিধাগুলি বাতিল করে দিয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত যা লক্ষ লক্ষ পেনশনভোগীদের উপর প্রভাব ফেলবে। পেনশনভোগীরা আর ভবিষ্যতের বেতন কমিশনের সুবিধা, পরবর্তী অষ্টম বেতন কমিশনের সুবিধাগুলির জন্য অথবা নতুন বিধানের অধীনে মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির জন্য যোগ্য হিসেবে প্রতিপন্ন হবেন না।

সমীক্ষা অনুসারে, ভারতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত অর্থ আইন ২০২৫ প্রাক্তন সরকারি কর্মীদের পেনশন পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছে। আইন অনুসারে, সরকার আর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের আর্থিক সুবিধা তদারকির দায়িত্বে থাকবে না। সেই অনুযায়ী, বেতন কমিশন এবং ডিএ বৃদ্ধির সুবিধাগুলি ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। পেনশন বা ভাতাগুলিতে ভবিষ্যতের পরিবর্তনগুলি সরকারের বিবেচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে এবং কেবল সিদ্ধান্তের দিন থেকেই কার্যকর হবে। পেনশনভোগীরা এই মেয়াদগুলির বিরুদ্ধে আইনিভাবে আপত্তি জানাতে পারবেন না এবং কোনও বকেয়া বেতন প্রদান করা হবে না।

অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী বর্তমানে ১৯৭২ সালের পেনশন আইনের অধীনে সুবিধা পান। তবে, বিষয়টি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের সামনে আনা হয়েছে কারণ এই আইনটি সকল ধরণের পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বিচারপতি ওয়াই.ভি. চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৫ বিচারকের সাংবিধানিক আদালত ১৯৮২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত নেয় যে সমস্ত পেনশনভোগী কখন অবসর গ্রহণ করবেন তা নির্বিশেষে, একই ফলাফল পাবে। অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সুবিধা ছাড়াও, রায়টি সাম্প্রতিকতম বেতনের ৫০% সমান পেনশনের নিশ্চয়তা দেয়। এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখা হয়েছিল এবং অনেক মানুষ এখন ১৭ সেপ্টেম্বরকে "পেনশনভোগী দিবস" হিসেবে পালন করে।

Money

তবে, এই কাঠামোটি ২০২৫ সালের অর্থ আইন দ্বারা বাতিল করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে বর্তমান পেনশনভোগীরা অষ্টম বেতন কমিশন বা ডিএ বৃদ্ধির দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। এই ধরনের উন্নতি আর ১৯৭২ সালের পেনশন আইনের আওতায় আসবে না এবং সরকার নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে যে পেনশন বা ভাতা আপডেট করা হবে কিনা।