/anm-bengali/media/media_files/2025/08/19/modi-army-2025-08-19-20-18-45.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের পাশাপাশি এখন বাংলাদেশের দিক থেকেও বাড়তে থাকা নিরাপত্তা-চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্র। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের আশঙ্কা মাথায় রেখেই এবার কলকাতায় উচ্চপর্যায়ের সেনা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই সূত্রের খবর।
আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতায় এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ইস্টার্ন কম্যান্ডের শীর্ষকর্তারা এবং সেনার অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত দিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
সাধারণত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় রাজধানী দিল্লিতে। কিন্তু সেনা সূত্রের ব্যাখ্যা, দেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে পূর্বাঞ্চল।প্রায় ৪,০৯৬ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত। “চিকেনস নেক” করিডর – উত্তর-পূর্বকে বাকি ভারতের সঙ্গে যুক্ত রাখে। অরুণাচল প্রদেশ-সহ দীর্ঘ চিন সীমান্ত। এই অঞ্চলেই মোতায়েন রয়েছে ইস্টার্ন কম্যান্ড। তাই সরেজমিনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বোঝাতেই কলকাতাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?
মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস দমনে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। একই সাথে মায়ানমার সীমান্তে সেনা অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি কেমন, তাও জানা প্রয়োজন। চিন সীমান্তে নজরদারি আরও মজবুত করার রণকৌশলও স্থির করতে হবে। সীমান্তে নতুন আর্টিলারি এবং আধুনিক প্রযুক্তি মোতায়েনের পরিকল্পনাও রয়েছে এই বৈঠকে।
সেনা সূত্রের কথায়, প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সেনা কম্যান্ডারদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপের রূপরেখা তৈরি করতে চাইছেন। দিল্লির তরফে চূড়ান্ত ঘোষণা প্রকাশ্যে এলেই বৈঠকের নির্দিষ্ট দিন ও সময় জানানো হবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us