/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: নতুন সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ হতেই উত্তাল হয়ে উঠল লোকসভা। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার সময় প্রবল হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে বিরোধীদের মধ্যে কয়েকজন বিলের কপি ছিঁড়ে সরাসরি অমিত শাহের দিকেই ছুড়ে দেন। শেষপর্যন্ত দুপুর ৩টে পর্যন্ত লোকসভার কার্যক্রম মুলতুবি রাখতে বাধ্য হন স্পিকার।
১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে - প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্র/রাজ্যের কোনও মন্ত্রী গুরুতর ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে টানা ৩০ দিন জেলবন্দি থাকলে, ৩১ তম দিন থেকেই তাঁদের মন্ত্রিত্ব পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলির দাবি, এই বিল সংবিধান বিরোধী এবং অগণতান্ত্রিক। "ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে ৩০ দিন জেলে রাখলেই তাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য করা যাবে — এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণের পথ তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্র"।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/29/amit-shah-aa-2025-07-29-16-54-32.jpg)
স্বাভাবিক ভাবেই এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিল পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কয়েকজন সাংসদ বিলের কপি ছিঁড়ে অমিত শাহের দিকে ছুঁড়ে দেন। অবশ্য তাতে অমিত শাহ পাল্টা বলেন - “আমরা এতটা নির্লজ্জ নই যে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়েও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব"।
এরপরই বিবাদ চরমে ওঠে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত লোকসভা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us