/anm-bengali/media/media_files/2025/05/06/QqpYwnP1mfE3MCDfbAaR.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে ৭ মে (মঙ্গলবার) দেশজুড়ে "মক ড্রিল" বা আপৎকালীন মহড়া আয়োজন করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই মহড়ার লক্ষ্য শুধুমাত্র সেনার প্রস্তুতি নয়, বরং সাধারণ নাগরিকদের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে — সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা।
এই বিশেষ মহড়া চলাকালীন বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসন, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও সাধারণ মানুষ অংশ নেবেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুসারে, যেসব অঞ্চল সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে বাসিন্দাদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির অনুশীলন করানো হবে।
মক ড্রিলের মূল দিকনির্দেশ -
১ সাইরেন বাজিয়ে অ্যালার্ট: যুদ্ধবিমান উড়লে কেমন সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়, তা সাধারণ মানুষকে জানানো হবে।
২ রেডিয়ো ও কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ: দুর্যোগ মুহুর্তে সরকারি বার্তা প্রচার ও সমন্বয়ের প্রক্রিয়া দেখানো হবে।
৩ আশ্রয় খোঁজার ও চিকিৎসার প্রশিক্ষণ: অফিস, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শেখানো হবে, কিভাবে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হয়।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/06/u0lrfKbuSBWSm8CBSEx0.jpg)
৪ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা: মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট, সরকারি ভবন ইত্যাদি এমনভাবে ঢেকে দেওয়া হবে, যাতে স্যাটেলাইটে দৃশ্যমান না হয়।
৫ ব্ল্যাকআউট অনুশীলন: শহর বা গ্রামে সব আলো নিভিয়ে ফেলা হবে — যেমন হয়েছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়।
৬ দ্রুত উদ্ধার ও স্থানান্তর অনুশীলন: শত্রু আক্রমণের সময় কীভাবে জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে সরানো যায়, তার অনুশীলন চলবে।
সরকার জানিয়েছে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা এবং প্রস্তুতি। সাধারণ মানুষকে এই ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে জীবন বাঁচাতে হবে, তা শেখানোই মূল লক্ষ্য।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us