কংগ্রেসের ‘ন্যায় পত্র’ নিয়ে নয়া তরজা, মোদীকে খোলা চিঠি মল্লিকার্জুন খাড়গের

শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

author-image
Probha Rani Das
New Update
modi khargee.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইট করে জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমার চিঠি, যে কংগ্রেস ন্যায় পত্র সম্পর্কে তাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি যাতে কোনো মিথ্যা বক্তব্য না দেন সেজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে দেখা করে আমাদের ইস্তেহারের ব্যাখ্যা দিতে চাই।

কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, “গত কয়েকদিনে আপনার ভাষা বা বক্তব্যে আমি বিস্মিত হইনি। প্রথম দফার ভোটে বিজেপির পারফরম্যান্স দেখার পর আপনি এবং আপনার দলের অন্যান্য নেতারা এভাবে কথা বলতে শুরু করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কংগ্রেস গরিবদের কথা বলছে, তাদের অধিকারের কথা বলছে। আমরা জানি যে আপনার এবং আপনার সরকারের দরিদ্রদের জন্য কোনও চিন্তা নেই। আপনার স্যুট-বুট কি সরকার সেই কর্পোরেটদের জন্য কাজ করে যাদের ট্যাক্স আপনি কমিয়েছেন, আর বেতনভোগী শ্রেণি বেশি কর দেয়। গরিবরা জিএসটি দেয় আর ধনী কর্পোরেটরা জিএসটি ফেরত দাবি করে।

mallikarjun kharge erw.jpg

খাড়গে বলেছেন, “এ কারণেই আমরা যখন ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের কথা বলি, আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে একে হিন্দু ও মুসলমানের সঙ্গে তুলনা করছেন। আমাদের ইশতেহার গরিবদের জন্য, তারা হিন্দু বা মুসলিম বা খ্রিস্টান বা শিখ হোক না কেন। আপনার প্রাক্তন মিত্রদের মতো জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না।

খাড়গে বলেন, “কংগ্রেস সর্বদা দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছে এবং আপনি দরিদ্রদের উপার্জন ও সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়ার শাসন করেছেন। আপনার সরকারই নোট বাতিলকে সংগঠিত লুঠ এবং বৈধ লুঠপাট হিসাবে ব্যবহার করে ব্যাঙ্কে গরিবদের জমা করা অর্থ ঋণের আকারে ধনীদের কাছে হস্তান্তর করেছিল। তাহলে এই ঋণগুলো আপনার সরকার লিখে মকুব করে দিযেছিল। ২০১৪ সাল থেকে আপনার সরকার যে লক্ষ লক্ষ কোটি কর্পোরেট ঋণ মওকুফ করে দিয়েছে তা হ'ল দরিদ্র থেকে ধনীদের কাছে সম্পদ হস্তান্তর। আপনি কোন কৃষকের ঋণ মকুব করেননি।

mallikarjun kharge .jpg

তিনি আরও বলেন, “দেশে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মহিলারা যে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন তা থেকে আপনি এবং আপনার সরকার বারবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আজ তাদের মঙ্গলসূত্রের কথা বলি। মণিপুরে মহিলাদের উপর অত্যাচার, দলিত মেয়েদের উপর অত্যাচার, ধর্ষকদের মালা পড়িবার জন্য কি আপনার সরকার দায়ী নয়? আপনার সরকারের আমলে যখন কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন, তখন আপনি কীভাবে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের রক্ষা করছেন?  আমরা ক্ষমতায় এলে যে নারী ন্যায় বাস্তবায়ন করব তা দয়া করে পড়ুন।”