সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন মহুয়া মৈত্র!

সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। ইমেল করলে ভেবে দেখবেন প্রধান বিচারপতি, জানালেন আজ। এখানে রইল এই নিয়ে বিস্তারিত আপডেট।

New Update
mahuaviral

নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার জরুরি শুনানির আবেদন করেন মহুয়া। কিন্তু, এদিন আদালত সেই অনুমতি দিতে অস্বীকার করল। এদিন, মহুয়ার পক্ষে বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে আবেদন করেন যাতে এই মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার করে দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে মামলাটি জরুরি শুনানির জন্য নথিভুক্ত নাও করা হতে পারে। তবে, মহুয়াকে পুরোপুরি নিরাশ করল না আদালত। অভিষেক মনু সিংভিকে এই বিষয়ে একটি ইমেল করতে বলেন প্রধান বিচারপতি। তারপর তিনি বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

hiring.jpg

এদিন প্রথমে, এই মামলার জরুরি শুনানির জন্য বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কওলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আবেদন করেন অভিষেক মনু সিংভি। বিচারপতি কওল এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশের জন্য আবেদনটি প্রদান বিচারপতির এজলাসে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৫ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন ছুটির জন্য বন্ধ হয়ে যাবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই যাতে এই মামলার শুনানি করা হয়, তার জন্যই এদিন এই মামলার জরুরি শুনানি চেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র।

মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ ও অন্য দামী উপহার নিয়ে, সংসদে ওই ব্যবসায়ীর স্বার্থে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে সংসদের অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ওম বিড়লা সংসদীয় এথিক্স কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ৮ ডিসেম্বর লোকসভায় এথিক্স কমিটি জানায় যে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর সংসদীয় ইমেইল অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য ভাগ করে নেন মহুয়া। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মুখে ছিল। তাই, তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এই বিশেষ কমিটি। এই রিপোর্ট গ্রহণ করার পর, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং ধ্বণিভোটে তা গ্রহণ করা হয়। মঙ্গলবার জানা যায় যে সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে সরকারি বাংলো ছাড়ার জন্যও নোটিশ পাঠানো হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে বাংলো ছাড়তে হবে। বহিষ্কার করার পর বাইরে এসে মহুয়া দাবি করেন যে তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। 

hiring.jpg