২২ জুন রাজ্য বনধের ডাক

পিনিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া (পিআইএ) সম্প্রতি বিদ্যুতের চার্জ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। ক্ষমতায় আসার আগে কংগ্রেস ২০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

author-image
SWETA MITRA
New Update
bandh.jpg



 

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফের দেশে বনধ। জানা গিয়েছে, আগামী  ২২ জুন কর্ণাটক (Karnataka) রাজ্য বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (কেসিসি অ্যান্ড আই) বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২২ শে জুন কর্ণাটক বনধের ডাক দিয়েছে। কর্ণাটক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেসিসি অ্যান্ড আই) এবং বিভিন্ন জেলা চেম্বার অফ কমার্স ২২ শে জুন একদিনের কর্ণাটক বনধের ডাক দিয়েছে। ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ইএসকম) কর্তৃক আরোপিত বিদ্যুতের চার্জের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে।

 

গত আট দিন ধরে এসব বাণিজ্য ও শিল্প সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে নিরলসভাবে সমাধান চেয়েছেন। যাইহোক, তাদের প্রচেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সুনির্দিষ্ট সমাধান বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

কর্ণাটক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য সন্দীপ বিদাসরিয়া ও প্রবীণ এস আগাদি এক চিঠিতে বলেছেন, "গত আট দিনে, আমরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট প্রভাবের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে কর্মকর্তা বা সরকারি প্রতিনিধিরা কেউই কোনও সমাধান দেননি। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমরা এই বনধের ডাক দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য একটি সমাধান খুঁজে বের করা এবং বিদ্যুতের চার্জ হ্রাস করা "

এই বনধের উদ্দেশ্য হ'ল সমাধানের জরুরি প্রয়োজনের দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং বিদ্যুতের চার্জ কমানো। সম্মিলিত ভাবে আশা করা যায় যে সরকার তাদের আবেদনের দিকে নজর দেবে এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেওয়া হবে।

গদাগ, বিজাপুর, রানেবেন্নুর, রায়চুর, তালিকোটি, বিজয়নগর, মহীশূর, দাভাঙ্গেরে, কোপ্পাল, বাগলকোটি, ধারওয়াদ, সিরসি, কারওয়ার, বিদার, শিবমোগা, কোলার, মান্ডিয়া, চিকমঙ্গলোর, ইয়াদগির, চিত্রদূর্গা, কল্যাণ কর্ণাটক, হাভেরি, হাসান, বেল্লারি সহ বেশ কয়েকটি জেলা চেম্বার তাদের সংহতি প্রকাশ করেছে এবং আরও বেশ কয়েকটি শিল্প সংগঠন এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এদিকে এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার।

 

এদিকে ক্ষমতায় আসার আগে কংগ্রেস ২০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে কংগ্রেস যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণের দাবিও তুলতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সরকার গঠিত হলে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

 

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন যে রাজ্যের সমস্ত ঘরোয়া গ্রাহকদের ২০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাদেরকেও এর সুবিধা দেওয়া হবে। কংগ্রেস কর্তৃক প্রদত্ত ছাড় এবং পাঁচটি গ্যারান্টি ঘোষণার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর বিজেপি কর্মীরা কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন।