জি২০ বৈঠকে জয়শঙ্করের বার্তা — “শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, সন্ত্রাসবাদে কোনও সহনশীলতা নয়”

জি২০ বৈঠকে জয়শঙ্কর কি বললেন?

author-image
Aniket
New Update
Screenshot 2025-09-25 11.29.00 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা: জি২০ বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বিশ্বশান্তি, উন্নয়ন ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন।

তিনি বলেন, “ইউক্রেন ও গাজায় চলমান সংঘাত জ্বালানি, খাদ্য ও সার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্লোবাল সাউথের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। শুধু সরবরাহ ও লজিস্টিক বিপর্যস্ত হয়নি, প্রবেশাধিকার ও খরচও নিজেই চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বহু দেশ চাপে পড়েছে। শান্তি উন্নয়নকে সম্ভব করে তোলে, কিন্তু উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলে শান্তি আনা যায় না।”

জয়শঙ্কর আরও মন্তব্য করেন, “যেকোনও সংঘাত পরিস্থিতিতে কিছু দেশ থাকে যারা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সেই দেশগুলিকে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখতে কাজে লাগানো। জটিল হুমকি মোকাবিলায় এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “শান্তির স্থায়ী ব্যাহতকারী হলো সন্ত্রাসবাদ। এর প্রতি বিশ্ব কোনও সহনশীলতা বা আপস দেখাতে পারে না। যারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তারা গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বড়সড় সেবা করছে।”

Screenshot 2025-09-25 11.23.21 PM

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সংঘাত, অর্থনৈতিক চাপ ও সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হয়ে আজ বহুপাক্ষিকতা এবং জাতিসংঘের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়েছে। বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা কখনও এতটা জরুরি ছিল না। বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অস্থির। জি২০-র সদস্য দেশ হিসেবে আমাদের বিশেষ দায়িত্ব হলো এই স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করা এবং ইতিবাচক দিকের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

তিনি উপসংহারে জোর দিয়ে বলেন, “এটি সর্বোত্তমভাবে সম্ভব হবে সংলাপ ও কূটনীতির পথে এগিয়ে গিয়ে, দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করে এবং শক্তিশালী জ্বালানি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়ে।”

বিশ্লেষকদের মতে, জয়শঙ্করের বক্তব্য ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করেছে— শান্তি ও উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ঐক্য এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাঠামোগত সংস্কার।