/anm-bengali/media/media_files/2025/04/30/26Q1KQAaj1AMjPWb0pzg.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: পহেলগাঁও-এর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত যখন সিন্ধু জলচুক্তি (IWT) কার্যত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন থেকেই পাকিস্তানে শুরু হয়েছে চরম উদ্বেগ। জল সরবরাহ হ্রাসের আশঙ্কায় পাকিস্তান এখন তার গুরুত্বপূর্ণ জল প্রকল্প ‘মোহমান্দ বাঁধ’-এর কাজ দ্রুত শেষ করতে চিনের ওপর নির্ভর করছে।
চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সোমবার জানায়, ভারতের জল সরবরাহ বন্ধের হুমকির পর পাকিস্তান মোহমান্দ বাঁধ প্রকল্পের কাজ জোরদার করেছে। বাঁধটি সোয়াত নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে, যা কাবুল নদীর একটি উপনদী। প্রকল্পটিকে "ফ্ল্যাগশিপ ইনিশিয়েটিভ" হিসেবে বর্ণনা করেছে পাকিস্তান।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মোহমান্দ বাঁধ নির্মাণকাজ জোরকদমে শুরু হয়। ২০২৫ সালের ১৭ মে তারিখের সর্বশেষ চিত্রে বিশাল পাথরের বাঁধ ও কংক্রিট নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ধরা পড়েছে, যা প্রকল্পটির পরবর্তী পর্যায়ে প্রবেশের ইঙ্গিত দেয়।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/21/TXLoeoS8cuGRxmxgQyCw.webp)
পাকিস্তানের আশঙ্কা আরও বেড়েছে, কারণ ভারত আফগানিস্তানে শাহতুত বাঁধ নির্মাণের কাজও ত্বরান্বিত করছে। এই বাঁধটি ২০ লক্ষ কাবুল বাসিন্দার পানীয় জল এবং ৪,০০০ হেক্টর জমির সেচের জন্য ব্যবহার হবে। ভারত ও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের সাম্প্রতিক ফোনালাপে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের চাপে পড়ে পাকিস্তান চিনের সহায়তা ছাড়া উপায় দেখছে না। কারণ সিন্ধু অববাহিকার নিম্নতীরবর্তী দেশ হিসেবে পাকিস্তানের জল নিরাপত্তা ভারতের জলে নির্ভরশীল। ফলে কাবুল নদীর উপনদী সোয়াতের উপর তৈরি হওয়া মোহমান্দ বাঁধে চিনা প্রযুক্তি ও অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত শুধু কূটনৈতিক প্রভাব নয়, পাকিস্তানের জল-নির্ভর নিরাপত্তাকেও গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে চিনের সহায়তায় মোহমান্দ বাঁধ, অন্যদিকে ভারতের আফগানিস্তানে সক্রিয় বাঁধনীতি - উভয়ই দক্ষিণ এশিয়ার জলের রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us