প্রদেশ কংগ্রেসের মাথাব্যথা শুরু, সিভি আনন্দ বোসকে উল্লেখ করে বঙ্গ কংগ্রেসকে চরমতম নিশানা

সিভি আনন্দ বোসকে উল্লেখ করে বঙ্গ কংগ্রেসকে চরমতম নিশানা।

author-image
Aniket
New Update
congress

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: সিভি আনন্দ বোসকে উল্লেখ করে বঙ্গ কংগ্রেসকে চরমতম নিশানা করলেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি ট্যুইট করে বলেন, 

tarunjyoti
"পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড. সি. ভি. আনন্দ বোস সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের সুপারিশ করেছেন—এই খবরেই প্রদেশ কংগ্রেসের মাথাব্যথা শুরু। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের তৃণমূল নমিনেটেড সভাপতি শুভঙ্কর বাবু সরাসরি মন্তব্য করেছেন, এই পদক্ষেপ নাকি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী! হাস্যকর। কংগ্রেস যেন আয়নায় নিজেকে দেখতে ভুলে গেছে।

স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস দল ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করেছে প্রায় ৯০ বার, যার মধ্যে শুধু ইন্দিরা গান্ধী একা ৪৮ বার এই ধারা ব্যবহার করেছেন বিরোধী দলীয় সরকারগুলিকে উৎখাত করতে। একে এক কথায় বলা চলে—"সাংবিধানিক অভ্যুত্থান"। ১৯৫৯ সালে কেরালায় প্রথম নির্বাচিত কমিউনিস্ট সরকারকে বরখাস্ত করে যে খেলা শুরু হয়েছিল, তা কংগ্রেসের আমলে ধারাবাহিকভাবে চলেছে। অথচ আজ তারাই সংবিধান রক্ষার ধ্বজাধারী সাজতে চায়!

১৯৯৪ সালের ঐতিহাসিক S.R. Bommai v. Union of India মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, রাষ্ট্রপতি শাসনের সিদ্ধান্ত এখন আর একতরফাভাবে গ্রহণযোগ্য নয়—এটি ন্যায়িক পর্যালোচনার যোগ্য এবং একাধিক সাংবিধানিক শর্ত পূরণ করতে হবে। এই রায় আসার পেছনেও ছিল কংগ্রেসের সীমাহীন অপব্যবহার, যা একরকম বাধ্য করেই আদালতকে এই রায় দিতে হয়েছে।

আজ শুভঙ্কর বাবু এবং তার কংগ্রেসি মুখপাত্ররা যেন ইতিহাস ভুলে বসেছেন, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলেছেন। তারা যেন ভুলে গেছেন—এই কংগ্রেসই ১৯৭৫ সালে দেশে এমার্জেন্সি জারি করে সংবাদমাধ্যমকে স্তব্ধ করে, বিরোধীদের জেলে ভরে, সংবিধানকে পদদলিত করে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিল। সেই কংগ্রেস আজ আমাদের "যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো" শেখাচ্ছে!

যে দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কলঙ্ক লেগে আছে, তারা আজ মুখে সংবিধানের ধ্বজা তুলে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ নাটক করছে—এ এক বিরাট রাজনৈতিক ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাই প্রদেশ কংগ্রেস, শুভঙ্কর বাবু এবং ছুটকো মুখপাত্রদের বলি—আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন, তারপর অন্যকে সংবিধান শেখাতে আসুন।"