পাইলট ও বিদ্রোহীদের ফোন ট্যাপের পিছনে গেহলট! ফাঁস হয়ে গেল গোপন খবর

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে নিয়ে জানা গেল বড় খবর।

New Update
ম,ম

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটের প্রাক্তন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) লোকেশ শর্মা বুধবার অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে রাজ্যে দলীয় সঙ্কটের সময় গেহলটের নির্দেশে শচীন পাইলট-সহ দলের বিদ্রোহীদের ফোন এবং তাঁদের গতিবিধি ট্র্যাক করা হয়েছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে গেহলটই ফোন কলগুলোর রেকর্ডিং পাস করেছিলেন এবং তাকে "সেগুলো মিডিয়ায় প্রচার করতে" বলেছিলেন। 

ক,ম

লোকেশ শর্মা বলেন, "আজ অবধি আমি সবাইকে বলতে থাকি যে আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই অডিও ক্লিপগুলো পেয়েছি। কিন্তু এটা সত্য নয়। ২০২০ সালের ১৬ জুলাই কিছু অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে ভাইরাল হয় কারণ আমি সেগুলো আমার ফোন নম্বর ব্যবহার করে মিডিয়াতে শেয়ার করি। সেই অডিওতে বিধায়কদের শিকার করে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। আমাকে যা বলা হয়েছিল আমি তাই করেছি। তাঁর পিএসও রামনিবাস আমাকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে আসতে বলেন কারণ মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। আমি তার কাছে পৌঁছানো মাত্রই তিনি একটি পেনড্রাইভ এবং একটি কাগজ ধরিয়ে দিলেন, যা আমি আপনার মাধ্যমে লোকদের মধ্যে বিতরণ করেছি। এই কাগজে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, প্রয়াত বিধায়ক ভানওয়ারলাল শর্মা এবং সঞ্জয় জৈনের মধ্যে কথোপকথনের উল্লেখ ছিল এবং এই পেনড্রাইভে তাদের অডিও ছিল। আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই অডিও ক্লিপগুলো পাইনি, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই পেন ড্রাইভে সেগুলো আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন এবং আমাকে সেগুলো মিডিয়ায় প্রচার করতে বলেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত করা হয় এবং অভিযোগ করা হয় যে বিজেপি, সচিন পাইলট এবং অন্যান্য বিধায়করা সরকার ফেলার চেষ্টা করছেন। এসবের পিছনে যে বিজেপির হাত রয়েছে, তা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। যা হয়নি। তৎকালীন উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট এমনকি বলেছিলেন যে তারা তাদের পক্ষ বলতে চাইলেও কেউ তাদের কথা শুনছে না, তাই তারা সবাই একত্রিত হয়ে দলের হাইকমান্ডে পৌঁছেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সবার ফোনে নজরদারি চালান এবং সচিন পাইলট-সহ তাঁদের উপর নজর রাখছিলেন।" 

Add 1