ফের ভয়াবহ বন্যার কবলে রাজ্য, ফুঁসছে নদী, আতঙ্কিত মানুষ

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এখন চিরাং জেলাও বন্যার কবলে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র ছাড়াও দিসাং নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
flood asssa.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে আসাম (Assam)। ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র নদী। আজ  ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় আসামের বেশ কয়েকটি অংশে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে শোণিতপুর। 

কেন্দ্রীয় জল কমিশনের (সিডব্লিউসি) রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্রের জল জোরহাট জেলার নিয়ামতিঘাটে এবং দিসাং নদীর জল শিবসাগর জেলার নাংলামুরাঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তেজপুর, গোয়ালপাড়া এবং ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্রের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা বজায় রয়েছে। উত্তর আসামের বেকি, গৌরাং ও সোনকোশ নদী এবং জিয়া-ভারালি নদীর জল হু হু করে বেড়েই চলেছে। বাড়ি, ঘর, স্কুল, অফিসে হু হু করে বন্যার জল ঢুকছে। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। 

এএসডিএমএ-তথ্যঅনুযায়ী, ধেমাজি, কোকরাঝাড়, লখিমপুরচিরাংজেলার১০৩টিগ্রামবন্যারকবলেপড়েছে।

দারাংজেলারসিপাঝারেসাকতলাবাঁধসহঅবকাঠামোগতক্ষয়ক্ষতিরখবরপাওয়াগেছে। আসামেরবিশ্বনাথধেমাজিজেলারকিছুঅংশেবন্যাপরিস্থিতিআরওখারাপহয়েছেএবং,৮১২জনমানুষক্ষতিগ্রস্তহয়েছে।আসামরাজ্যদুর্যোগব্যবস্থাপনাকর্তৃপক্ষেরতথ্যঅনুযায়ীপ্রায়২৬১জনমানুষবন্যায়ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে, অন্যদিকেধেমাজিজেলাসবচেয়েবেশিক্ষতিগ্রস্তহয়েছে, ,৫৫১জনমানুষক্রমাগতবৃষ্টিতেক্ষতিগ্রস্থহয়েছে।জানা যাচ্ছে,ধেমাজি, লখিমপুরজোরহাটজেলায়অবকাঠামোবেড়িবাঁধক্ষতিগ্রস্তহয়েছে। 

এদিকে, গুয়াহাটিরআঞ্চলিকআবহাওয়াকেন্দ্র (আরএমসি) আসামেরপ্রায়সমস্তঅঞ্চলেহালকাথেকেমাঝারিবৃষ্টিপাতেরপূর্বাভাসদিয়েছে, যারমধ্যেরাজ্যেরআরওকয়েকটিজায়গায়ভারীথেকেঅতিভারীবৃষ্টিপাতরয়েছে।গত২৪ঘণ্টায়রাজ্যেরসবচেয়েবেশিবৃষ্টিহয়েছেগোসাইগাঁওফকিরাগ্রামে।

এক সরকারী বুলেটিনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬৬ দশমিক ৪৭ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আগামী কয়েক দিন এই অঞ্চলে অত্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের জন্য আসামের কিছু এলাকায় হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আসাম অঞ্চলের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই আসামে বন্যার কারণে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল।