ভোটের আগে রাজ্যের মানচিত্রে বদল! ৩ নতুন জেলা আনছেন মুখ্যমন্ত্রী

ভোটের আগে এক বড় পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তিনটি নতুন জেলা তৈরি করলেন তিনি। এখানে ক্লিক করে দেখুন সেই নামগুলো।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
Rajasthan-Map-With-District-Name-Pdf

নিজস্ব সংবাদদাতা: শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে, শুক্রবার রাজস্থানে তিনটি নতুন জেলা গঠনের ঘোষণা করা হল অশোক গেহলট সরকারের পক্ষ থেকে। নতুন তিনটি জেলা হল – মালপুরা, সুজানগঢ় এবং কুচামন সিটি। রাজস্থান মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ হিন্দিতে একটি পোস্ট করেন গেহলট। তিনি লেখেন যে জনগণের চাহিদা এবং এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ অনুসারে, রাজস্থানে তিনটি নতুন জেলা তৈরি করা হবে – মালপুরা, সুজানগঢ়,  কুচামন সিটি। এখন রাজস্থানে ৫৩টি জেলা হল। ভবিষ্যতেও, উচ্চ-স্তরের কমিটির সুপারিশ অনুসারে সীমানা নির্ধারণের মতো সমস্যাগুলির সমাধান করে দেওয়া হবে। 

এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার রাজস্থানে নতুন জেলা ঘোষণা করল সেখানকার কংগ্রেস সরকার। অগস্ট মাসেই রাজস্থানে ১৯টি নতুন জেলা ও ৩টি নতুন বিভাগ তৈরি করা হয়। জয়পুর জেলাকে ভেঙে জয়পুর এবং জয়পুর গ্রামীণ আর তার সঙ্গে যোধপুর জেলাকে ভেঙে যোধপুর এবং যোধপুর গ্রামীণ জেলা তৈরি করা হয় তখন। এছাড়া, আপুনগঢ়, বালোত্রা, বেওয়ার, দেগ, দিদওয়ানা-কুচামন, দুডু, গঙ্গাপুর সিটি, কেকরি, কোটপুতলি-বেহরোর, খয়েরথাল-তিজারা, নিম কা থানা, ফলোদি, স্লম্বার, সাঁচোর এবং শাহপুরা জেলা স্থান তৈরি করা হয়। তার আগে ওই রাজ্যে মোট ৩৩টি জেলা এবং ১০টি বিভাগ ছিল। অগস্টের সীমানা পূনর্বিন্যাসের পর জেলা ও বিভাগের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫০ ও ১৩। এদিন আরও তিনটি নতুন জেলা তৈরি হওয়ায় রাজ্যের জেলার সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩।

চলতি বছরের শেষেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের সূচি ঠিক করতে আজই বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে যে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে সেই রাজ্যের ভোটগ্রহণ পর্ব। ঠিক তার আগেই দুই ধাপে এই জেলা বৃদ্ধির পিছনে ভোট ব্যাঙ্কের কৌশল আছে বলে  মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে, অশোক গেহলট সরকার দাবি করছে যে এই জেলা বৃদ্ধি করা হল সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই। এর জন্য, গত বছর মার্চে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিই রাজ্যের জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির সুপারিশ করে প্রথম। এর ফলে, প্রশাসনিক কাঠামোর উন্নতি করা হবে। বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য সাধারণ মানুষকে জেলা সদরে যেতে হত। এর আগে জেলাগুলির আকার বড় থাকায় তাদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার সমস্যা ছিল। এখন জেলার সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ায় জেলাগুলির আয়তম কমে যাওয়ার ফলে ওই দীর্ঘ যাত্রা থেকে মুক্তি।