'ঘোলা জলে মাছ ধরা বন্ধ করুন', কংগ্রেসকে পরামর্শ বিজেপি নেতার

আগামী ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এদিকে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে উঠে আসছে হিংসার খবর। বাংলায় এই প্রথম নয় যে নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
ami mallik.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট ও মণিপুরের হিংসা প্রসঙ্গে এবার বিরোধীদের নিশানা করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। বিশেষ করে কংগ্রেসকে নিশানা করে বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় বিজেপি (BJP) নেতা লেখেন, ‘আগুনজ্বলছেপশ্চিমবঙ্গে।পঞ্চায়েতনির্বাচনরক্তেভিজেগেছে।ক্ষমতাসীনতৃণমূলকংগ্রেসেরঅপরাধীরাকংগ্রেসসহবিরোধীকর্মীদেরনির্বিচারেহত্যাকরেছে।কিন্তুমল্লিকার্জুনখাড়গেথেকেরাহুলগান্ধীবাসোনিয়াগান্ধীপর্যন্তকোনওকংগ্রেসনেতাইরাজ্যেব্যাপকহিংসাঅগ্নিসংযোগেরবিষয়েকথাবলেননি। তাঁরা ভয় পাচ্ছে যে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের নিন্দা করে ফেলে।কিন্তুএই একইনেতারামণিপুরে (Manipur) দুই গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের ঘটনায় আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছেন। মণিপুরেরসহিংসতানিয়েশেষবারেরমতোকংগ্রেসেরলোকদেরবক্তৃতাদেওয়াউচিত। কংগ্রেস যতই যা বলুক, এইক্ষেত্রেবিচারবিভাগীয়পর্যবেক্ষণেরফলএবংক্ষমতায়থাকাবিজেপিসরকারেরসাথেএরকোনওসম্পর্কনেই। অন্যদিকে, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মণিপুরের চুড়াচাঁদপুর প্রায় দুই বছর ধরে জ্বলেছে, কংগ্রেসের ওকরাম ইবোবি সিং সরকারের তিনটি বিল - মণিপুর পিপলস বিল, ২০১৫, মণিপুর ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার (সপ্তম সংশোধনী) বিল, ২০১৫ এবং মণিপুর দোকান ও প্রতিষ্ঠান (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল মানুষের সমস্যা তৈরি করেছিল। এই তিনটি বিল চুড়াচাঁদপুর জেলার লোকেরা দেখেছে। সেইসময়ে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পাইট এবং কুকি সম্প্রদায়ের মানুষজন। সেইসময়ে কংগ্রেস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের জমি দখলের "ষড়যন্ত্র" করেছিল। অতএব কংগ্রেস পিছু হটে যাক এবং ঘোলা জলে মাছ ধরা বন্ধ করুন নেতারা। মণিপুরে ঐতিহাসিক জাতিগত সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতি চোখ বন্ধ করে রাখার ভণ্ডামিটাও দ্রুত বন্ধ করুক কংগ্রেস।‘

উল্লেখ্য, আগামী ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ৭৫ হাজার আসনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) গ্রহণ হবে। এদিকে এই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বহু মানুষের মৃত্যু অবধি ঘটেছে। এহেন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাজ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতার তদন্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।

এইমামলারশুনানিরসময়বিচারপতিঅমৃতাসিনহাপঞ্চায়েতনির্বাচনেসহিংসতানিয়েঅসন্তোষপ্রকাশকরেন।ধরনেররক্তপাতচলতেথাকলেনির্বাচনবন্ধকরতেহবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি।