গরু পাচার মামলা...অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বড় আপডেট

গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে কত সম্পত্তির মালিক তিনি? সব এসেছে প্রকাশ্যে।

New Update
anubrata3

নিজস্ব সংবাদদাতা: ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছে গরু পাচার মামলা। এবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে গরু পাচার মামলার যাবতীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা এবং দেহরক্ষী সায়গল হোসেনদের শুনানি করা হবে এখন থেকে দিল্লির আদালতেই।

সকাল ১১টা নাগাদ গরু পাচার মামলায় যাবতীয় নথিপত্র নিতে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে যান ইডি-র দিল্লি সদর দফতরের দুই আধিকারিক। দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁরা তিনটি গাড়িতে করে নথি নিয়ে কড়া কেন্দ্রীয় পাহারায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মীকে নিয়ে আসানসোল থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে যান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ এ্যাভিনিউ আদালতে গরু পাচার মামলার নথি জমা পড়তে চলেছে। তারপর আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মী দিল্লি থেকে আসানসোলে ফিরে নথি জমা দেওয়ার ডকুমেন্ট বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে দেবেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর গরু পাচার মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ইডির আবেদনে সিলমোহর দেয় আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২ পাতার নির্দেশ দেন যেখানে বলা হয় যে ২০০৫ সালের একটি গেজেট নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে এই মামলা দিল্লির রাউজ আদালতে পিএমএলএ কোর্টে পাঠানো হচ্ছে। তারপরই গরু পাচার মামলা সরে গেল দিল্লিতে।

রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের জেরে নথি সংগ্রহে দেরি হচ্ছে বলে আদালতকে জানিয়ে দেয় সিবিআই। রাজ্যের মামলার কেন ভিন রাজ্যে শুনানি করা হবে, এই প্রশ্ন তুলে অতীতে একাধিকবার মামলা স্থানান্তরের আবেদনে আপত্তি জানান 'বীরভূমের বাঘ' অনুব্রত মণ্ডল। যদিও ইডির যুক্তির কাছে তা টিকতে পারেনি বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। এ বার দিল্লির আদালতে গরু পাচার মামলার শুনানির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার আগে নাকি গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নিয়ে জেরা করে টাকার উৎস সম্পর্কে তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন, এমনটাই দাবি করে ইডি৷ সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ এর আগে সিবিআই আদালতে যে নথি জমা দেয় সেখান থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি থাকাকালীন বহু সম্পত্তিই ‘জলের দরে’ কেনা হয় অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে।