অজাতশত্রু অটল: অমিত শাহ

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

author-image
SWETA MITRA
New Update
amit atal.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকী। আর এই বিশেষ দিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আজ বুধবার এক টুইট বার্তায় অমিত শাহ লেখেন, ‘অটলজি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির অজাতশত্রু, আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে রাজনীতির সর্বোচ্চ মান নির্ধারণ করেছিলেন। জাতির সেবা করার দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি নিয়ে একদিকে যেমন সুশাসনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, অন্যদিকে পোখরানের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে ভারতের শক্তি দেখিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি এমন এক মহান ব্যক্তিকে প্রণাম জানাই, যিনি তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে দলকে শূন্য থেকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অমূল্য অবদান রেখেছেন।‘  

এদিনদেশের রাষ্ট্রপতিদ্রৌপদীমুর্মু, উপরাষ্ট্রপতিজগদীপধনকর, প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্রমোদীসহদলেরঅন্যান্যসদস্যএবংএনডিএসহযোগীনেতারাজাতীয়রাজধানীতেসাইদাভঅটলস্মৃতিসৌধেপুষ্পস্তবকঅর্পণকরেন।  

এনসিপিনেতাপ্রফুল্লপ্যাটেল, কেন্দ্রীয়মন্ত্রীআপনাদল (সোনেলাল) নেতাঅনুপ্রিয়াপ্যাটেলএবংহিন্দুস্তানিআওয়ামমোর্চারজিতনরামমাঝিসহএনডিএনেতারাওতিনবারেরপ্রাক্তনপ্রধানমন্ত্রীকেশ্রদ্ধাজানান, যিনিদেশেরসর্বোচ্চবেসামরিকসম্মানভারতরত্নেভূষিতহয়েছেন।

লোকসভারস্পিকারওমবিড়লাএবংরাজ্যসভারডেপুটিচেয়ারম্যানহরিবংশও 'সদাইবঅটল' স্মৃতিসৌধেপুষ্পস্তবকঅর্পণকরেন।

১৯২৪সালেগোয়ালিয়রেজন্মনেওয়াবাজপেয়ীকয়েকদশকধরেবিজেপিরমুখছিলেনএবংপ্রথম-কংগ্রেসীপ্রধানমন্ত্রীযিনিপূর্ণমেয়াদেদায়িত্বপালনকরেছিলেন। এই অটলবিহারী বাজপেয়ী ১৬ মে, ১৯৯৬ থেকে ১ জুন, ১৯৯৬ এবং আবার ১৯ মার্চ ১৯৯৮ থেকে ২২ মে ২০০৪ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোরাজি দেশাই এর মন্ত্রিসভায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ভারতরত্ন প্রাপককে সম্মান জানাতে ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর জন্মদিনে প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সুশাসন দিবস হিসাবে পালন করা হবে।