File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ উঠে এল তদন্তে। এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) প্রকাশ করেছে এই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ১৫ পাতার প্রাথমিক রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিমানের দুটি ইঞ্জিন।
কী বলছে রিপোর্ট?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওড়ার মুহূর্তেই পরপর ১ ও ২ নম্বর ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ফুয়েল সুইচ ‘RUN’ থেকে ‘CUTOFF’-এ চলে যাওয়ায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ইঞ্জিনগুলিও বন্ধ হয়ে পড়ে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিমানটি যখন আকাশে উঠছিল, তখন ১৮০ নটস গতি অর্জন করলেও, ইঞ্জিনের ‘থ্রাস্ট লস’ অর্থাৎ পর্যাপ্ত গতি সঞ্চারে সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি সাময়িকভাবে সামলানো গেলেও শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা আটকানো যায়নি।
AAIB স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক বিশ্লেষণে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কোনও প্রমাণ মেলেনি। দুর্ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণেও সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিমানটি এয়ারপোর্টের সীমানা প্রাচীর পার হওয়ার আগেই নীচে নামতে শুরু করে।
ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের দুটি ইঞ্জিন, রাখা হয়েছে এয়ারপোর্ট হ্যাঙ্গারে। বিমানের এক্সটেন্ডেড এয়ারফ্রেম ফ্লাইট রেকর্ডার (EAFR) মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখান থেকে তথ্য উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য অংশ ও যন্ত্রাংশ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। AAIB জানিয়েছে, তদন্ত চলছে, আরও বিশ্লেষণ এবং পরীক্ষার পরই সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। তবে এতটুকু পরিষ্কার, যান্ত্রিক ত্রুটি ও সম্ভাব্য অপারেশনাল গাফিলতি এই দুর্ঘটনার পিছনে বড় কারণ হতে পারে।
Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB) has released a Preliminary Report on Air India B787-8 flight crash at Ahmedabad on 12th June; Jet fuel switches were "cut off mid-air 1 second apart", one of the pilots heard saying " I didnt cut off fuel".
— ANI (@ANI) July 12, 2025
Latest visuals from the… pic.twitter.com/rKy9UZZDHf
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us