হাসপাতালে উপচে পড়ছে ভিড়, পরিবারের লোকেরা আসছে আপনজনের দেহাংশের খোঁজে!

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই দেহ চিহ্নিত করা হচ্ছে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
Ahmedabad-Air-India-Plane-Crash

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বি৭৮৭ বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। শনিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় মোট ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে একজন বাদে সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া বিমানটি যে স্থানে ভেঙে পড়ে - মেঘানি নগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজ হস্টেল ও তার আশপাশের এলাকায় - সেখানে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় পুর প্রশাসনের মতে, উদ্ধারকাজ চলাকালীন এখন পর্যন্ত ৩১৯টি দেহাংশ উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই একই ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানা গিয়েছে।

এত বড় আকারে দগ্ধ দেহগুলোর পরিচয় নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র আটটি দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং মৃতদের পরিবারের হাতে সেগুলি কফিনবন্দী অবস্থায় তুলে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে মুখমণ্ডল কিংবা শরীরের গঠন দেখে শনাক্ত করা অসম্ভব। অনেকের হাত-পাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই দেহ চিহ্নিত করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাত পর্যন্ত নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের ২১৯ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশ্লেষণের পর পূর্ণাঙ্গভাবে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং সমস্ত মৃতদেহ যথাযথ মর্যাদায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।