/anm-bengali/media/media_files/2025/08/01/election-commission-a-2025-08-01-11-17-35.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচ সরকারি কর্মচারীকে শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করলো রাজ্য সরকার। তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে নবান্ন। ফলে বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চাপের মুখে রাজ্য সরকার নতি স্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি কমিশনের শর্ত মেনে নেয়নি।
সূত্রের খবর, গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল বারুইপুর পূর্বের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, ওই কেন্দ্রের এআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার, এআরও সুদীপ্ত দাস এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোটার তালিকায় এমন এক নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যে আসলে কোনও সরকারি কর্মীই নন। এই কারণেই নির্বাচন কমিশন অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি এফআইআর দায়েরের সুপারিশ করেছিল।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/zfeoCtxyY1WgrqcCkQtz.webp)
কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, “কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আমি প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব"। সেই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল।
অবশেষে দিল্লিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তলব করার পরই বৃহস্পতিবার সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে কমিশনের চাপে রাজ্য সরকার আপস করতে বাধ্য হয়েছে। তবে এফআইআর এড়িয়ে গিয়ে রাজ্য প্রশাসন নিজেদের অবস্থানও বজায় রাখলো।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us