/anm-bengali/media/media_files/2025/05/27/DwYRHKZBUIDUgc9rYlsL.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিককে চিনের কূটনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মুহূর্ত হিসেবে মনে করা হলেও, সেই ইভেন্টের আড়ালে ঘটে গিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দুটি রাজনৈতিক রাজবংশের একটি নীরব ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ। ১৮ বছর পর সেই বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ভাইরাল হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
কী ঘটেছিল ২০০৮ সালে?
সেই বছর বেজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, তাঁর সন্তান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। একই আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, তাঁর বোন বখতাওয়ার ও আসিফা, এবং পিপিপির শীর্ষ নেতা রহমান মালিক প্রমুখ।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/27/vXT0sVrM6CJ21S5WwJdd.jpg)
সেই সময়, সোনিয়া গান্ধী প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডে শোকপ্রকাশ করতে ভুট্টো পরিবারের সাথে দেখা করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩০ মিনিটের একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ হয়। পিপিপি নেতা রহমান মালিক পরে জানিয়েছিলেন, “এটি ছিল একটি ব্যক্তিগত বৈঠক, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি”।
Sonia, Rahul, Priyanka had meeting with Bhuttos at Beijing in 2008.
— Ankur Singh (@iAnkurSingh) May 21, 2025
Neither of them were Prime Minister or any Minister in Govt.
Why did they meet?
So much love and bonding? pic.twitter.com/OGl4nRMgTo
এই সাক্ষাৎ যতই অরাজনৈতিক হোক না কেন, একই সময়ে খবর আসে যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক বা MoU স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে পরামর্শের পথ খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একই পথে হাঁটে পিপিপিও, যদিও তাদের MoU-এর বিস্তারিত তথ্য আজও অস্পষ্ট।
বর্তমানে, ১৮ বছর আগের এই সাক্ষাতের একটি বিরল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর, বহু রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও নাগরিক কংগ্রেসের কাছে এই বৈঠকের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন একই ছাদের নিচে, তা সে ব্যক্তিগত পর্যায়েই হোক না কেন, তখন জনস্বার্থে স্বচ্ছতা প্রয়োজন”।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/27/QH89iDCZ5Jd3n6ikq2Zs.jpg)
এই মুহূর্তে কংগ্রেস দল এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, যার ফলে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সংবেদনশীলতা বিবেচনা করলে, এমন একটি বৈঠক এবং চিনের ভূমিকা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ওই সাক্ষাৎ কি নিছকই এক শোকবার্তা আদান-প্রদান ছিল, নাকি এর আড়ালে ছিল কৌশলগত রাজনৈতিক বার্তা? এই প্রশ্ন ১৮ বছর পরও ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us