অব্যাহত মৃত্যুলীলা, আরও দুজনের দেহ উদ্ধার, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি

ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে উত্তরাখণ্ড। গৌরীকুণ্ডে ভূমিধসের ঘটনায় ইতিমধ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নেপালি বংশোদ্ভূত ১৪ জন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নেপাল দূতাবাসের কাছে তথ্য চেয়েছে জেলা প্রশাসন।

author-image
SWETA MITRA
New Update
gauri.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভূমিধসে (Landslide) নিখোঁজ আরও ২ জনের দেহ উদ্ধার হল গৌরীকুণ্ডে।  ভূমিধসের ঘটনায় নিখোঁজ ১৮ জনের মধ্যে দু'জনের দেহ শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরা দুজনেই মহিলা। গত আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীকুণ্ড (Gaurikund) দাতপুলের কাছে প্রবল ভূমিধসে মহাসড়কের পাশের তিনটি দোকান ভেসে যায়। গৌরীকুণ্ডে উদ্ধার কাজ চলছে। এই প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে যে, ‘রুদ্রপ্রয়াগ জেলার গৌরীকুণ্ডে তল্লাশি অভিযান চলছে। অভিযানে নিয়োজিত দলগুলি ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। এখনও পর্যন্ত মোট সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।‘

 

এদিকে গৌরীকুণ্ডে ভূমিধসের ঘটনায় নেপালি বংশোদ্ভূত ১৪ জন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নেপাল দূতাবাসের কাছে তথ্য চেয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও, ভ্রমণের সময় বহিরাগতদের যাচাইয়ের বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ভূমিধসের দুর্ঘটনার ছয় দিন পরেও নেপালি বংশোদ্ভূত এবং অনেকের সন্ধান মেলেনি।

 

এদিকে বিগত বৃহস্পতিবার রুদ্রপ্রয়াগ-গৌরীকুণ্ড জাতীয় সড়কে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির ভেতর থেকে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। মহাসড়কের ৮০ মিটারেরও বেশি অংশ পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এ কারণে যান চলাচল এখনও অবধি স্বাভাবিক হয়নি।

এদিকে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে মহাসড়কের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ শুরু হয়। উভয় দিক থেকে জেসিবি মেশিনের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে ভারী বোল্ডারগুলি ভেঙে পরিষ্কার করা হয়। বিকাল ৫টায় ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার সময় একটি গাড়িও দেখা যায়। এসডিআরএফ, ডিডিআরএফ, পুলিশ এবং হোমগার্ড কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করে গাড়িটি বের করে আনে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির ভেতর থেকে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, নি’হতদের কাছ থেকে পাওয়া ফটো আইডি কার্ডের ভিত্তিতে তাদের সনাক্ত করা হয়েছে। মৃতদের নাম হল যথাক্রমে জিগার আর মোদী, দেশাই মহেশ, মণীশ কুমার, মিন্টু কুমার ও পারিক দিব্যাংশ। তারা সবাই গুজরাটের বাসিন্দা।‘  এহেন ঘটনাকে ঘিরে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে।

 

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি শুক্রবার সন্ধ্যায় কোটদ্বার বিধানসভার দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো খুলে দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করা তাঁর অগ্রাধিকারের মধ্যে অন্যতম।