নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তর প্রদেশে হোলির উৎসব সবসময়ই বিশেষভাবে উদযাপিত হয়, তবে উত্তর প্রদেশের হামিরপুর জেলার হোলি উৎসব সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অনন্য। এখানে ৩০০ বছর পুরোনো এক বিশেষ ঐতিহ্য মেনে হোলিতে 'হোলি দুলহা' হিসেবে একজন ব্যক্তি বর সেজে বেরোন, আর পুরো গ্রামের মহিলারা বরযাত্রী হয়ে এতে অংশ নেন।
নারীরাই সাজেন বরযাত্রী
এই ঐতিহ্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হল এই যে, রাম জানকি মন্দির থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় শুধুমাত্র মহিলারাই অংশ নেন। কোনো পুরুষ এতে অংশ নেয় না। এক ডজনের বেশি ঘোড়াও এই শোভাযাত্রার অংশ হয়।
কীভাবে মহিলারা বরযাত্রী সেজে বের হন ?
প্রথমে একজন ব্যক্তিকে 'বর’ সাজিয়ে ঘোড়ায় বসানো হয়। তারপর ঢাক-ঢোল ও বাজনার সঙ্গে এই শোভাযাত্রা পুরো গ্রাম পরিক্রমা করে। গ্রামের মহিলারা ‘বর’কে তিলক পরিয়ে বরন করেন, তারপর আরতি করেন ও মিষ্টি খাইয়ে বিদায় জানান।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/09/wNWJrmHLj3FkY9wEcaWh.jpeg)
এই ঐতিহ্য পালন করার পরই পুরো গ্রামে রঙের উৎসব শুরু হয়।
এই শোভাযাত্রা শেষ করার পর গ্রামে একটি হিরণ্যকশিপু বধের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়, যা হোলির ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে আরও গভীর করে তোলে। হামিরপুরের এই অনন্য হোলি, ভক্তি, আনন্দ এবং রঙের এক অপরূপ মেলবন্ধন সৃষ্টি করে, যা প্রত্যেক বছর গ্রামবাসীদের মধ্যে উৎসাহ জাগিয়ে তোলে।