মানসিক ভারসাম্যহীন এক বালককে ঘরে ফেরালো পুলিশ

মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিল পুলিশ। জামুরিয়া থানার অন্তর্গত কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশের এ হেনো মানবিক দৃষ্টান্তকে সাধুবাদ ওই যুবকের পরিবারের। ওই কিশোরের বাড়ি নেহেরু রোডের চিরকুন্ড ঝারখান্ডে।

author-image
New Update
police  3


হরি ঘোষ, দূর্গাপুর: মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিল পুলিশ (Police)। ওই কিশোরের বাড়ি নেহেরু রোডের (Nehru Road)  চিরকুন্ড ঝারখান্ডে। কেন্দা পুলিশ সূত্রের খবর পুলিশের টহররত গাড়ি লক্ষ্য করেন সকাল ৯টা  নাগাদ ১২ বছরের ওই কিশোর দুই নম্বর জাতীয় সড়ক তপসী পেট্রোল পাম্পের সামনে ঘোরাফেরা করছে। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ওই কিশোরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু ওই যুবক সেভাবে কিছুই বলতে পারেনি। কেন্দা ফাঁড়ির টহলরত গাড়ি পুলিশ খবরটি কেন্দা ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুকান্ত দাস কে খবর দেওয়া হয়। ওই কিশোরকে কেন্দা ফাঁড়িতে  নিয়ে আসা হয়।কেন্দা ফাঁড়ির বড়বাবু সুকান্ত দাস ওই কিশোরের ছবি তুলে সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে সন্ধানের জন্য পাঠিয়ে দেন। সমাজ মাধ্যমে খবর পেয়ে গঙ্গা প্রসাদ কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সুকান্ত বাবু ওই কিশোরের প্রমাণপত্র নিয়ে গঙ্গা প্রসাদ কে আসতে বলেন।দুপুর আড়াইটা নাগাদ গঙ্গা প্রসাদ নামে এক সিআইএসএফ কর্মী সপরিবারে পুলিশ ফাঁড়িতে এসে পর্যাপ্ত প্রমাণ পত্র দেখিয়ে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যান।গঙ্গা প্রসাদ জানান তিনি সিআইএসএফ কর্মী। বর্তমানে তিনি ঝাড়খণ্ডের চিরকুণ্ডাতে কর্মরত রয়েছেন। তার ছেলে দুর্গেশ কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ তার ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিভাবে এত দূরে পৌঁছালো সেটা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে যেভাবে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ মানবিকতা দেখিয়েছেন তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। তিনি জানান পুলিশের তৎপরতায় তার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেকে ফিরে পেলেন।