সন্তান লাভ! দুর্গাপুজোর নেপথ্যে স্বপ্নাদেশ! কোন পুজো?

সবংয়ের পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে নানান কাহিনী। রাজার পুজোর ইতিহাস জেনে নিন।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
মমমমমমমম

নিজস্ব প্রতিনিধি, সবং : মায়ের স্বপ্নাদেশ,শুরু পুজো,সন্তান লাভ,সবংয়ে ৩০০ বছর পুরানো "লবনের" দারোগার বাড়ির পুজো এখন সার্বজনীন রূপ পেয়েছে। 

আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে ওড়িশার কটকের জাজপুর থেকে মোহাড়ে এসে বসবাস শুরু করে লবণের দারোগা রমাপ্রসাদ মহান্তি। সেই সময় অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মোহাড়ে নিমকি মোহাড় বলে এক জায়গায় লবণ উঠতো,সেই জায়গায়  লবণ রক্ষনাবেক্ষন নজরদারির জন্য দায়িত্ব  ছিল জাজপুরের রমাপ্রসাদ মহান্তির।একদিন মা স্বপ্নাদেশ দেয় যে দুর্গাপুজো করলে সন্তান লাভ করবে।সেই মতো রমাপ্রসাদ মহান্তি স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরেই দুর্গাপুজো শুরু করে এবং তারপরেই সন্তান লাভ করে।  ছেলেরও  নাম দেওয়া হয় দুর্গাপ্রসাদ মহান্তি।বাবার শুরু করা দুর্গোপূজাকে এগিয়ে নিয়ে যায় দুর্গা প্রসাদ মহান্তি।  আর সেই মহান্তি থেকেই বর্তমানে মাইতি। প্রথম সময়ে  ৩০০ বছর আগে ঘট শাল্যগ্রাম শীলার ঘট পূজা হত এই জায়গায়। তারপর মাঝে অনেক বছর কেটে যায়।তারপরে ১৯৯৪ সাল সাল থেকে মূর্তিপূজা শুরু হয় মোহাড়ের বাসিন্দা প্রভাত মাইতির উদ্যোগে।সপ্তমীতে কেলেঘাই নদীতে ঘট তোলা হয়, অষ্টমীতে প্রসাদ বিতরণ, বাড়ির লোকজন সবাই সামিল হয় এই পুজোতে।  বর্তমানে এই পুজো মাইতি বাড়ির পুজো নামেই পরিচিত।তবে সাবেকি আনায় পরিবারের রীতির রেওয়াজ মেনেই এই পুজো  প্রায় ৩০০ বছর পেরিয়ে গেল।এখন আর সেই লবণ তোলার জায়গাও নেই,সমস্ত কিছুই বিলীন হয়ে গিয়েছে।

 

 

 

hiring.jpg