"পাকিস্তান কীভাবে এমন বোকামিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে?" সরকারকে তুলোধোনা
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানকে অনুমোদন! এল বড় খবর
সমস্ত খেলোয়াড়দের সাথে যোগাযোগ রয়েছে! আইপিএল বন্ধের বিষয়ে এল বড় বার্তা
BREAKING: আজও নির্ঘুম রাত ভারতীয় সেনার! পাকিস্তানের ড্রোন হামলার জবাব দিচ্ছে
BREAKING: বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে একটি সশস্ত্র ড্রোন হামলা! রাতেই এল বড় খবর
BREAKING: উত্তর থেকে দক্ষিণে ড্রোন হামলা! নিশ্চিত করলেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা
ভারত পাকিস্তান সংঘাতের অবসান! এবার ময়দানে আমেরিকা
BREAKING: শ্রীনগর বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা! তালিকায় এক বিমান ঘাঁটিও
"যুদ্ধ কি পণ্য? আমাদের সেনা জওয়ানরা কি পণ্য?" হঠাৎ রাতে এই পোস্ট করলেন সিপিএম নেতা

বড় দুয়ারের দুর্গা! কোথায় পূজিতা হন জানেন?

দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু ব্যানার্জি পরিবারে। লাউদোহায় ৪০০ বছরের পুরনো এই পুজো।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
sasas

হরি ঘোষ, লাউদোহা : আনুমানিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর ধরে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ইছাপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমলৌকা গ্রামের ব্যানার্জি বাড়ির দুর্গা প্রাচীন প্রথা মতোই পূজিতা হয়ে আসছেন। বৈষ্ণব মতে পূজিতা হন এখানকার মা দুর্গা। তাই কোনও বলিদান প্রথা নেই। বর্তমানে ব্যানার্জি পরিবারের রয়েছেন ৫৭ জন সদস্য। তারাই নিজেদের প্রচেষ্টায় আজও পুজো চালিয়ে আসছেন। প্রাচীনকালে এই মায়ের মন্দির ছিল তালপাতার ছাউনির। গত ১৬ বছর আগে ব্যানার্জি পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের নতুন রূপ দেয়। বর্তমান ব্যানার্জি পরিবারের সদস্য করুণাময় ব্যানার্জি জানান, আনুমানিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে তাদের বংশের প্রাণপুরুষ রামযাদব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম শুরু করেন এই দুর্গাপুজো। এমনই কথিত রয়েছে।
আমলৌকা গ্রামের ব্যানার্জি বাড়ির দুর্গা বড় দুয়ারের দুর্গা নামেও পরিচিত এলাকায়। পুজোর চার দিন ব্যানার্জি পরিবারের সমস্ত সদস্য একসাথে খাওয়া দাওয়া ও আনন্দ উৎসবে মেতে থাকেন। এখানে দুর্গা পুজোয় এই একটি বিশেষ প্রক্রিয়া রয়েছে যা অন্য কোথাও সচরাচর দেখতেই পাওয়া যায় না।  বলিদান প্রথা না থাকলেও এখানে একটি বিশেষ নাড়ু বলির প্রথা রয়েছে। মহা অষ্টমীর দিন হয় এই নাড়ু বলির প্রক্রিয়া। তবে নাড়ু বলির নামকরণ হলেও বলিদানে ব্যবহৃত হয় না কোনও রকম অস্ত্র। নিষ্ঠার সঙ্গে নাড়ু তৈরি করতে হয় পরিবারের সদস্যদেরই। লম্বা আকারের একটা নাড়ু তৈরি হয় সেটা একটা চন্দন পিঁড়ির ওপর রেখে দেওয়া হয় মায়ের সামনে। সঠিক সন্ধিক্ষণে নিজের থেকেই নাড়ু দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়।
ব্যানার্জি পরিবারের দুর্গা মন্দিরের পাশেই রয়েছে শিব ও রাধা মাধবের মন্দির। বিগত ৪০০ বছর ধরেই নিয়মিত নিত্য পুজো চলে আসছে এখানে।

hiren