সোজা কথা— যারা এই বিলের বিরোধিতা করছে, তারা জনগণের টাকা জনগণের কাজে লাগুক, এটা চায় না- সোজাসাপটা তরুণজ্যোতি

কি বলছেন তরুণজ্যোতি?

author-image
Aniket
New Update
tarunjyoti

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বড় বার্তা দিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, "এক দেশ, এক নির্বাচন – সময়ের দাবি, দেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত

আপনি কি জানেন?

আপনি, আমি — দেশের প্রতিটি নাগরিক নিজের উপার্জনের এক অংশ কর হিসেবে দিই, রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয় সেই অর্থ। কিন্তু সেই অর্থের বড় একটি অংশ প্রায় সারা বছর ধরে চলতে থাকা বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে খরচ হয়ে যায়।

প্রতিটি রাজ্যেই আলাদা আলাদা সময়ে বিধানসভা নির্বাচন, আলাদা সময়ে লোকসভা নির্বাচন, কখনো পঞ্চায়েত, কখনো পৌরসভা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই খরচ হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। শুধু টাকা নয়, সময়, জনবল, প্রশাসনিক ক্ষমতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ— উন্নয়নের গতি থমকে যায়।

এই পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান হতে পারে একটাই—

এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation, One Election)

এই ব্যবস্থায় কী হবে?

লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে

* নির্বাচনী ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমবে
* প্রশাসন একাধিকবার নির্বাচন পরিচালনার দায় থেকে মুক্ত হয়ে মানুষের কাজ করবে
* উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো বারবার মডেল কোড অফ কন্ডাক্টে আটকে যাবে না
* রাজনৈতিক দলগুলিও অপ্রয়োজনীয় প্রচারে অর্থ ও সময় ব্যয় না করে জনসেবার কাজে মনোযোগ দিতে পারবে

আর্থিক ব্যয় কতটা কমবে?

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা,
২০১৯ সালে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫৫,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও গড়ে ২,০০০-৫,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

যদি সব নির্বাচন একসঙ্গে হয়, তাহলে বছরে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার মতো খরচ সাশ্রয় করা সম্ভব— এই অর্থই যেতে পারে:

* গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয় গঠনে
* প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র উন্নয়নে
* কৃষকদের সরাসরি সাহায্যে
* পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানে

আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি কী বলছে?

* ১৯৯৯ সালে ১৭০তম আইন কমিশন রিপোর্টে প্রথম এই প্রস্তাব উত্থাপন
* ২০১৮ সালে ২১তম আইন কমিশনের সুপারিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়— প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে এটি কার্যকর করা সম্ভব
* ২০২১-২৪ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়, যা বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিয়েছে
* আজকের দিনে, লোকসভায় ONOE বিল পেশ হয়েছে এবং তা JPC (Joint Parliamentary Committee) তে পাঠানো হয়েছে

রাজনৈতিক ঐক্যমত্য ও ইতিহাস কী বলছে?

ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ী থেকে শুরু করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী— সকলে এই ধারনার পক্ষে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বারবার বলেছেন—

“নির্বাচন ব্যবস্থাকে একসঙ্গে নিয়ে আসলে আমরা শুধু সময় নয়, দেশের ভবিষ্যৎও সাশ্রয় করতে পারব।”

তাহলে বিরোধিতাটা কেন? কে বিরোধিতা করছে?

যারা এই উদ্যোগের বিরোধিতা করছে, তারা আসলে চায় না—

* দেশের অর্থনীতি মজবুত হোক
* জনগণের টাকায় জনসেবা হোক
* প্রশাসন নির্বাচন-নির্ভর না হয়ে জনগণ-নির্ভর হোক

তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ, ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন সময়ে সুযোগ নেওয়ার কৌশল নষ্ট হয়ে যাবে— তাই তারা এক দেশ এক নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে।

সোজা কথা— যারা এই বিলের বিরোধিতা করছে, তারা জনগণের টাকা জনগণের কাজে লাগুক, এটা চায় না। তারা উন্নয়নের বদলে বিভাজন ও ব্যর্থতা চায়।

বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একসাথে হয়, পুরো দেশে হলে অসুবিধা কোথায়? 

একসাথে হলে তো প্যারা মিলিটারি ফোর্সের খরচা ও কমে। স্কুল কলেজ বন্ধ করে নির্বাচন করাতে হয় এর ফলে অনেকের ক্ষতি হয়। 

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। ত্রিস্তরীয় নির্বাচন ব্যবস্থার নির্বাচন এখানে একসাথে হয়। পঞ্চায়েতে যারা থাকেন তারা একসাথে তিনটে ভোট দেন। তাহলে লোকসভা এবং বিধানসভা হলে অসুবিধা কোথায়?

এটা কেবল একটা রাজনৈতিক সংস্কার নয়, এটা ভবিষ্যতের ভিত্তি

এক দেশ এক নির্বাচন বাস্তবায়িত হলে—

* নির্বাচন আরও স্বচ্ছ ও যুক্তিযুক্ত হবে
* সরকারের জবাবদিহিতা বাড়বে
* জনগণ বারবার ভোট দিয়ে ক্লান্ত হবে না
* জাতীয় উন্নয়নের গতিপথ আরও সুসংহত হবে

এবার সময় এসেছে— আমরা, সাধারণ ভারতবাসী, একসঙ্গে বলি:

 “আমরা চাই— এক দেশ, এক নির্বাচন।”

“আমরা চাই— আমাদের টাকায় আমাদের উন্নয়ন।”

“আমরা চাই— সুশাসন, স্থিরতা ও গতিশীল প্রশাসন।”

আপনি যদি দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পক্ষে থাকেন— তাহলে এখনই এই উদ্যোগকে সমর্থন জানান। এটা আমাদের দেশের জন্য, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য।

#ONOE #OneNationOneElection #JPC #জনগণেরভবিষ্যৎ #উন্নয়নেরপক্ষেভারতবাসী"।

tarunjyotir1.jpg

তরুণজ্যোতি তিওয়ারির ট্যুইট ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।