অধ্যক্ষ অভিমানী, রাগ ভাঙাচ্ছেন সাংসদরা!

এতোটায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি, যে লোকসভায় না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যক্ষ। জানিয়েছেন, যে যতদিন না পর্যন্ত সংসদের উপযুক্ত আচরণ করছেন সাংসদরা, ততদিন আর তিনি লোকসভায় আসবেন না।

New Update
om-birla-pti1-1690982257.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০ জুলাই থেকে ২ অগাস্ট, পেরিয়েছে ১৪ দিন অথচ তারপরও মণিপুর ইস্যুতে প্রতিদিনই স্থগিত হয়ে যাচ্ছে অধিবেশন। হচ্ছে না কোনও আলোচনা। যা নিয়ে শাসক-বিরোধী, দুই পক্ষের সাংসদদের উপরই অত্যন্ত অসন্তুষ্ট লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। এতোটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি, যে লোকসভায় না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যক্ষ। এমনকি তিনি এমনটা জানিয়েছেন, যে যতদিন না পর্যন্ত সংসদের উপযুক্ত আচরণ করছেন সাংসদরা, ততদিন আর তিনি লোকসভায় আসবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

তাঁর সেই রাগ ভাঙাতে মরিয়া হলেন শাসক-বিরোধী সাংসদরা। এদিন অধিবেশন শুরু হতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, আরএসপির এনকে প্রেমচন্দ্রন, বিএসপির রীতেশ পান্ডে, বিজেপির রাজেন্দ্র আগরওয়াল, তৃণমূলের সৌগত রায়, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ এবং ডিএমকে-র কানিমোঝি সহ প্রত্যেক সাংসদই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে কক্ষের শান্তি বজায় রাখার কথা দেন। হাউস ও চেয়ারের মর্যাদা রক্ষার আশ্বাস দেন তারা।

 

কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে কার্যধারা পুনরায় শুরু করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি সেই প্রসঙ্গেই বলেন, “অধ্যক্ষ আমাদের হেফাজতকারী”। এদিন অধ্যক্ষের আসনের দায়িত্বে ছিলেন রাজেন্দ্র আগরওয়াল। তিনি সকল সাংসদের কাছে কথা দিয়েছেন তাদের এই বার্তা স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেবেন।